ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৪
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত স্থানীয় আলপাইন ফুলের তৃণভূমির জন্য বিখ্যাত ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স, যা নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ-এর একটি অংশ।


এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম বোটানিকাল গার্ডেন এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।


এই উপত্যকায় পৌঁছানোর সময় গন্তব্য পথে আপনার সাথে বিভিন্ন জনপদ, বিস্তীর্ণ বনভূমি, প্রাণী এবং বিভিন্ন রকমের উদ্ভিদের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে, যা আপনার সারা জীবনের এক অমূল্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।


উপত্যকাটি প্রায় ৬০০ রকম প্রজাতির ফুল দ্বারা সুসজ্জিত এবং এছাড়াও এশিয়াটিক কালো ভাল্লুক, তুষার চিতা, লাল শিয়াল এবং হিমালয়ের বার্ডস দেখতে পাওয়া যায়।


সমুদ্র থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচু এই উপত্যকা বিরল সব উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাসস্থান।


বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের পাশাপাশি এখানে এশিয় কালো ভল্লুক, স্নো লেপার্ড, শেয়াল ও বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পাখি এবং হরিণের সন্ধান মেলে। পুষ্পবতী নদী লাগোয়া পায়ে হাঁটা পথে পৌঁছে যাওয়া যায় হেমকুণ্ড সাহিবে।


এই পায়ে হাঁটা পথে হিমালয়ের উপত্যকা ঘুরে দেখতে বহু মানুষ ট্রেক করতে আসেন এখানে। দেখলে মনে হবে যেন কোনও এক শিল্পীর হাতে আঁকা রঙিন পোস্টকার্ড।


তবে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্স যেহেতু জাতীয় উদ্যান তাই উপত্যকার ভিতরে থাকা খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই।


হৃষিকেশ, যোশীমঠ, গোবিন্দঘাট ও ঘনগরিয়ায় ছোট-বড় নানা রকমের পর্যটক নিবাস রয়েছে। সেখান থেকে গাড়িতে বা পায়ে হেঁটে পৌঁছনো যায় এই ফুলেল উপত্যকায়।


আগস্ট, সেপ্টম্বর, অক্টোবর— এই উপত্যকায় ঘোরার উপযুক্ত সময়। আবহাওয়াও মনোরম থাকে এই সময়।


কী করবেন?


এখানে মানুষ আসেন মূলত তিনটি লক্ষ্য নিয়ে। প্রথমটি অবশ্যই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্বেষণ। ট্রেকিংয়ের পায়ে হাঁটা পথের দু’ধারে রয়েছে হরেক রকমের বন্য পাহাড়ি ফুলে ঢাকা বিস্তীর্ণ উপত্যকা। আর সঙ্গে মৃদু শব্দে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী পুষ্পবতী। দ্বিতীয় কারণটি অবশ্য ধার্মিক। হেমকুণ্ড সাহিব শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এই তীর্থস্থান দর্শন করতে আসেন। আর তৃতীয় যে বিষয়টির জন্য পর্যটকরা এখানে আসেন সেটি হল পাহাড়ি গ্রাম ভ্রমণ। ঘনগরিয়া এখানকার প্রান্তিকতম গ্রাম। ঘুরে দেখতে পারেন ব্যুন্দর গ্রামটিও।


ট্রেকের পথ—


ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে ট্রেকের জন্য প্রথমে যেতে হবে হৃষিকেশ। হৃষিকেশ থেকে বাসে বা ছোট গাড়িতে যেতে হবে যোশীমঠ। হৃষিকেশ থেকে যোশীমঠ সড়ক পথে প্রায় ২৫৫ কিলোমিটার। সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা। বাস না মিললেও পেয়ে যাবেন শেয়ার ট্যাক্সি বা সুমো। রাতটুকু যোশীমঠে কাটিয়ে পর দিন সকালে রওনা দিতে হবে গোবিন্দঘাটের দিকে। গাড়িতে গোবিন্দঘাটের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। গোবিন্দঘাট থেকেই শুরু পায়ে হাঁটা পথ। গোবিন্দঘাট থেকে ট্রেক করে ঘনগরিয়ার দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। ট্রেক করতে সময় লাগবে প্রায় ৬ ঘণ্টা। ঘনগরিয়ার উচ্চতা গোবিন্দঘাটের থেকে প্রায় ১২০০ মিটার বেশি। ফলে গোটা ট্রেকের সবচেয়ে কঠিন অংশ এটিই। তৃতীয় দিন মাত্র ঘণ্টা দু’য়েকের ট্রেকেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com