গঙ্গা বিলাস এবার ঢাকায়
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৬
গঙ্গা বিলাস এবার ঢাকায়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতীয় প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস রূপসী বাংলাখ্যাত বরিশালে এসে পৌঁছেছে। 


বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন নৌবাহিনীর জেটিতে এসে জাহাজটি নোঙর করে। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 


তিনি জানান, আজ রাত পর্যটকবাহী জাহাজ গঙ্গা বিলাস কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে থকবে। বৃহস্পতিবার ভ্রমণের পরবর্তী গন্তব্য ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।


আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গঙ্গা বিলাসে ২৮ জন পর্যটক রয়েছেন। এর মধ্যে ২৭ জন সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা এবং একজন জার্মানির বাসিন্দা। এছাড়া জাহাজের ক্রু রয়েছেন ৪১ জন। যারা সকলেই ভারতীয় নাগরিক। পর্যটকরা জাহাজ নোঙর করার পর ইতোমধ্যে বরিশালের দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে বেড়িয়েছেন। পর্যটকরা বরিশালে অক্সফোর্ড মিশন চার্চ এবং ভিমরুলির ভাসমান পেয়ারা বাগান পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।


আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনী পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশ বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন। তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ কাজ করছে। এছাড়া কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশও এক সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। 


এর আগে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙর করে পাঁচ তারকামানের এই জাহাজ। মোংলায় তাদের বরণ করে নেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী। তার পরের দিন জাহাজটি সেখান থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আজ এসে ভেড়ে কীর্তনখোলার তীরে।


পর্যটকবাহী জাহাজ গঙ্গা বিলাস ৫১ দিনে ৩২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার সময় ছোটবড় ২৭টি নদী পাড়ি দেবে। নদী পথে বাংলাদেশকে দেখার অনেক স্থান রয়েছে বলে পর্যটকরা বাংলাদেশের দক্ষিণপ্রান্ত সুন্দরবন দিয়ে প্রবেশ করেছেন। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি চিলমারী বন্দর দিয়ে ভারতের ধুব্রীতে প্রবেশ করে ১ মার্চ আসামের ডিব্রুগড়ে যাত্রার সমাপ্তি হবে।


৬২ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ মিটার প্রস্থ প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসে অত্যাধুনিক সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে ৮০ জন পর্যটক ভ্রমণ করতে পারে।


উল্লেখ্য, দীর্ঘতম নদী যাত্রায় প্রমোদতরীটি ভারত-বাংলাদেশের ২৭টি নদীর উপর দিয়ে যাবে। ঐতিহ্যবাহী ও ধর্মীয় স্থানসহ ৫০টিরও বেশি পর্যটনস্থান পরিদর্শন করানো হবে। কোন পথ দিয়ে যাচ্ছে তার জন্য থাকবে উভয় দেশের নদীপথের মানচিত্র।


গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও বঙ্গোপসাগর মধ্যদিয়ে দুই প্রতিবেশি দেশের প্রোটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশে চলাচল করবে তরিটি। একইভাবে প্রমোদতরী ভারতীয় ভেসেল অ্যাক্ট অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য একটি জাতীয় পারমিট রয়েছে। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম নদীযাত্রা।


এর আগে ১৩ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি প্রমোদতরীর উদ্বোধন করেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রটোকল রুট ধরে এই নৌযান চলাচলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত।


বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে মোট ৮০ জন যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে গানবাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন। সেই সঙ্গে থাকছে শরীরচর্চা আর রূপচর্চার কেন্দ্র।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com