চাকরি অধ্যাদেশে পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ১৭:৩০
চাকরি অধ্যাদেশে পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কর্মচারীদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ পর্যালোচনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (৩ জুন) সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য কোরামের নেতাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, এ আইনের বিষয়ে তাদের (সরকারি কর্মচারী) অনেক আপত্তি আছে। তাদের আপত্তিগুলো শোনার পূর্ণ মানসিকতা আমাদের রয়েছে। আমি যতদূর জানি উপদেষ্টা পর্যায়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হবে। কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তাদের যে আপত্তিগুলো আছে সেগুলো ভালো করে শোনা, বিবেচনা করা এবং সেই অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করা।


উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মানে আমরা পুনর্বিবেচনা করার স্কোপ রেখেছি। কমিটি আজ বা কাল গঠন হবে। উপদেষ্টা পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।


আসিফ নজরুল বলেন, সর্বোচ্চ মানবিক দিক থেকে তাদের অসুবিধার বিষয়গুলো বিবেচনা করার সর্বোচ্চ মানসিকতা সরকারের রয়েছে।


উচ্চ পর্যায়ের ওই কমিটির সুপারিশ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আমি যদি কমিটিতে থাকি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে তাদের বক্তব্যগুলো শুনব এবং উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তুলে ধরার চেষ্টা করব।


এই অধ্যাদেশের কিছু ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। আপনিও সেটা মনে করেন কি না- জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, কিছু ক্ষেত্রে (আইন) অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকা কখনোই একটি প্রত্যাশিত ব্যাপার হতে পারে না। ভালো করে শোনা-বোঝার জন্যই কমিটিটা গঠন করা হয়েছে।


সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না হলে কোরবানির ঈদের পর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন, এটা তাদের ব্যাপার।


এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, ঈদের ছুটির পর ১৬ জুন আমরা বসব। আমরা আশা করি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে এটার একটা পূর্ণাঙ্গ সমাধান আসবে। এই কালো ও নিবর্তনমূলক আইন প্রত্যাহার হবে।


চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।


এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়।


এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন।


সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার ১১ দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন কর্মচারীরা। একই সঙ্গে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তারা গত তিন দিনে সাতজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com