
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আমাদের সরকারি মজুতে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরেও প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে আমরা যে ব্যাত্যয়টা চালের বাজারে দেখছি, সেটাকে হ্যান্ডেল করার জন্য আমদানিকে আরও বেশি উদার করেছি। আশা করি আমদানি শুরু হলে যদি কেউ অন্যায্যভাবে মজুদ করে থাকে, এই মজুদটা তারা ছাড়তে বাধ্য হবে এবং বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. প্রফেসর ওমর বোলাত এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে খাদ্য মন্ত্রণালয় বার্মা, পাকিস্তান ও ভারত থেকে সরাসরি কয়েক লক্ষ টন চাল আমদানি করছে। আমাদের আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান আসবে। আমরা আশা করছি এখন থেকে এপ্রিল, আগামী তিন মাস বাজারে যে একটা সাময়িক অবস্থা তৈরি হয়েছে সেটা ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়া অন্য কোনো পণ্যে সমস্যা নেই বলে আমার ধারণা।
এখন আমনের ভরা মৌসুম কিন্তু চালের দাম বেড়ে গেছে আগে শুনতাম সিন্ডিকেট, এখন আগের জায়গায় নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে কিনা। আপনারা কতখানি বাজার মনিটরিং করবেন- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সাংবাদিক হিসেবে যদি আমাদেরকে (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে দেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। আমার জানামতে, আবহাওয়াগত কারণ, বন্যা, বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে হয়ত চালের দাম বেড়েছে। তবে আমাদের নিজস্ব তথ্য-উপাত্ত বলছে আমাদের চালের কোনো ঘাটতি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নিয়েছি। খাদ্য মন্ত্রণালয় বার্মা, পাকিস্তান ও ভারত থেকে সরাসরি কয়েক লক্ষ টন চাল আমদানি করছে। বাজারে যে একটা সাময়িক অবস্থা তৈরি হয়েছে সেটা ঠিক হয়ে যাবে। রোজায় পণ্যে কোনো সমস্যা হবে না। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানিতে ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল সেটা আমরা কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]