'সর্বোত্তম পেতে গিয়ে যেন উত্তমকে হারিয়ে না ফেলি'
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৬
'সর্বোত্তম পেতে গিয়ে যেন উত্তমকে হারিয়ে না ফেলি'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সংস্কারমুখী মানুষকে আইনশৃঙ্খলা না দিয়ে, তার খাওয়ার ব্যবস্থা না করে, চাকরির নিশ্চয়তা না দিয়ে বিপথে নিয়ে যাবেন না। সর্বোত্তম পেতে গিয়ে আমরা যেন উত্তমকে হারিয়ে না ফেলি।’ তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে চাই, কিন্তু এই মুহূর্তের সমস্যাগুলো মনোযোগে না নিলে ওই জায়গাটায় পৌঁছানো যাবে না।


২৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য কোন পথে’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।


ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সংলাপের আজ ছিল প্রথম দিন। এই সংলাপের আয়োজক ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ। সকালে এই সংলাপের উদ্বোধন করা হয়।


ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পিছিয়ে পড়া, নদীভাঙনের মধ্যে থাকা, আদিবাসী, দলিত সম্প্রদায়, নারী-পুরুষের ভেতরে বিভেদ, ধর্মীয় চিন্তার ভেতরে বিভেদ, লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে বিভেদ- সেই মানুষগুলোর বেঁচে থাকা, কথা বলা, সমাবেশ করা, জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার থাকবে- সেই নিশ্চয়তা আমাদের পেতে হবে। সেই ঐক্যের বাংলাদেশ আমাদের গড়তে হবে। একটা ন্যূনতম জায়গায় আমাদের একমত হতে হবে।


তিনি বলেন, কাঠামোগত প্রশাসনিক সংস্কারের বিষয়ে অনেক আলোচনা হলেও এর মধ্যে ঘাটতি লাগার বিষয় আছে। আর তা হলো, উপরিকাঠামো নিয়ে যতখানি আলোচনা হচ্ছে, এই দেশ-সমাজের ভিত্তি নিয়ে তত আলোচনা হয় না।


তিনি আরও বলেন, এই আলোচনা শোনা যায় না যে গার্মেন্টস শ্রমিকের বেতন কত হবে, সে ন্যায্য মজুরি কীভাবে পাবে, কৃষক ফসলের দাম পাবে কি না, এই মুহূর্তে মধ্যবিত্ত ৮০ টাকায় শাকের আঁটি কেমন করে খাবে? সেই আলোচনা তো আসেনি। একবারও তো আলোচনা হলো না যুবসমাজের কর্মসংস্থান কেমন করে হবে। সেই সংস্কার কি আমরা দেখেছি। কীসের উপরিকাঠামো সংস্কার করবেন, যদি আমার ভিত ঠিক না থাকে। আসল ক্ষমতায়ন তো রুটি-রুজির ক্ষমতায়ন। আমার খুব কষ্ট লাগে, এই বিষয়গুলো আমাদের নেতারা দেখছেন না।


তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনা চললেও বাদবাকি মানুষ কোথা থেকে মহার্ঘ ভাতা পাবে সেই আলোচনা শোনা যায় না। শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য কোনো ভাতার প্রচলন হবে কি না, সেটাও শোনা যায় না।


শ্বেতপত্র তৈরি নিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, সময়ের মধ্যে শ্বেতপত্র তৈরি করতে পারায় গর্ববোধ করছি। আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না লুণ্ঠনের মাত্রাটা কী ভয়ংকর। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। এটাকে ঠিক করতে হবে।


বিবার্তা/এনএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com