
রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং ফার্মগেটের শহীদ আনোয়ারা পার্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় ২৫টি খাল শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পান্থকুঞ্জ পার্ক ও আনওয়ারা পার্ক নিয়ে আমরা নতুন করে ভাবছি৷
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিনের ব্যবহারের কারণে খাবারে ও মায়ের দুধের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চটের ব্যাগকে আমরা পলিথিনের ব্যাগের বিকল্প ভাবতে পারি।
এরআগে (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কে নির্মাণ কাজ চলমান থাকার পাশেই মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের পরিবেশ সচেতন নাগরিক ও সংগঠনের যৌথ প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’।
মানববন্ধনে তারা জানান, পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে (মেট্রো পিলার ৪৮৪) পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং হাতিরঝিল ধ্বংস করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, এ নির্মাণ কাজ জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আইন, পরিকল্পনা ও যথাযথ পদ্ধতির তোয়াক্কা না করে হাতিরঝিলের জলাধার ভরাটের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংস করছে। কোনো ধরনের পরিকল্পনাগত প্রভাব বিশ্লেষণ ছাড়াই নতুন করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা হাতিরঝিল প্রকল্পের সার্বিক লক্ষ্য ও উপযোগিতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে। পান্থকুঞ্জ পার্ক কারওয়ান বাজারের ফুসফুস বলে জানে সবাই। এই পার্কে যেভাবে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে তাতে পার্কটি তার আগের অবস্থান হারাবে। তাছাড়া কারওয়ান বাজারের সামনে যদি এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প হয় তাহলে এই এলাকায় যানজট আগের চেয়ে আরও বেড়ে যাবে।
নির্মাণ কাজ থামানো না গেলে পান্থকুঞ্জ পার্ক নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যমান রাস্তার উপযোগিতাও নষ্ট হবে এবং এ এলাকার মানুষ, পার্ক ব্যবহারকারীদের সার্বিক দিক থেকেই ব্যাহত হবে বলেও উল্লেখ করেন পরিবেশপ্রেমিরা।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]