
কারফিউ কিছুটা শিথিল হওয়ায় সীমিত পরিসরে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশনায় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আন্তঃনগরসহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, যাত্রী নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তা আবারও বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে ঢাকার আশপাশে স্বল্প দূরত্ব এলাকায় ট্রেন চলাচলের কথা ছিল। এই এলাকাগুলো ছিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-জয়দেবপুর। পরে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। আজও কমলাপুর থেকে কোথাও ট্রেন চলাচল করবে না।
এর আগে, বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সীমিত আকারে স্বল্প দূরত্বের কিছু ট্রেন চালুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, কারফিউ শিথিলের সময়টাতে যাত্রীবাহী কিছু ট্রেন বৃহস্পতিবার থেকে চালানো হবে। এসময়ে স্বল্প দূরত্বের লোকাল-কমিউটার ট্রেন চলবে। সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-টাঙ্গাইলসহ দেশের আরও বেশ কিছু রুটে ট্রেন চলবে। এরপর সরকার কারফিউ নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সে অনুযায়ী ট্রেন চালানোর বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল চালু আছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি কমিউটার ট্রেন যাতায়াত করে। তবে তা তিন-চারবার আসা-যাওয়া করতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন।
এদিকে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও জয়দেবপুরগামী যাত্রীদের স্টেশনে ভিড় করতে দেখা যায়। রেলওয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এসব যাত্রীরা। যাত্রীরা জানান, গতকাল খবরে জানলাম আজ কমিউটার চলবে। এখানে এসে শুনি সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। আমাদের এভাবে না ভোগালেও হতো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ চালু ছিল। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে সকালে মহাখালী রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকেই সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেল থেকে জানানো হয়- পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]