
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে ৩ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩ দিনের মধ্যে কোটা ব্যবস্থা বাতিল না করলে হরতালসহ কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
৮ জুলাই, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসুচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আলম বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের জন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে ৩দিনের আলটিমেটাম দেয়া হলো। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মনে করেছিল, ছাত্ররা ঘুমিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যারা বৈষম্য করতে চায়, তাদের বলে দিতে চাই, প্রয়োজনে ছাত্র আবার জেগে উঠবে। আমরা মনে করি, ১৯৭১ এর পর বাংলাদেশের পুনর্জন্ম প্রয়োজন।
এসময় তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করেন, কোটার প্রতি আপনার এতো দরদ কেন?
তিনি আরো বলেন, ২৪টি জেলা ব্লক হয়ে গিয়েছে।
রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে পরবর্তীদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে এসেছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ১ দফা দাবিতে মানার ব্যাপারটি এখন সরকারের নির্বাহী বিভাগের নিকট। ফলে, আমাদের আদালত দেখিয়ে কোন লাভ নেই।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি থাকবে না। তবে সারাদেশে গণসংযোগ করা হবে এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলবে। এরপর বুধবার কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
নাহিদ বলেন, আমরা হুট করে আসিনি, আমরা জুন থেকেই আন্দোলনের সাথে আছি। সরকার আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে, তাদের বক্তব্য আমাদের হতাশ করছে। এতদিন আমরা অর্ধবেলা ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি করেছি। আমরা আগামীকাল সারা দেশে সর্বাত্মক অনলাইন এবং অফলাইন গণসংযোগ করব এবং বুধবার থেকে বৃহত্তর ব্লকেডের কর্মসূচি গ্রহণ করব।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]