ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রী ভোগান্তি
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ১৬:০৬
ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রী ভোগান্তি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শুরু হয়েছে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অগ্রিম টিকিটে ট্রেনযাত্রা। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আজ বুধবার (১২ জুন) থেকে শুরু হয়েছে ‘স্পেশাল’ ট্রেন সার্ভিস। তবে প্রথম দিনেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে রাজধানীর কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল ট্রেন। ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিলম্ব ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা। কাঙ্ক্ষিত ট্রেন পেতে যাত্রীদের এক থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে এ যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও গন্তব্যের উদ্দেশে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সাড়ে আটটায়।


তীব্র গরমের মধ্যেই স্টেশনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। ২ তারিখ যারা টিকিট কিনেছেন আজ বাড়ি ফিরছেন তারা। আর স্টেশন থেকে বলা হচ্ছে, ঈদের সময় এই বিলম্ব স্বাভাবিক।


১২ জুন, বুধবার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।


সকাল সাড়ে ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। মূলত ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে এমন ভিড় জমেছে স্টেশনে। তাপপ্রবাহ, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন ও বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলায় রেলওয়ে ক্রান্তিকাল পার করছে উল্লেখ করে স্টেশন ম্যানেজার জানান, দ্রুতই কেটে যাবে রেলের এই বিলম্ব।


স্টেশন থেকে সিলেটগামী পারাবাত এক্সপ্রেসের ছাড়ার কথা ছিল ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে। সেই ট্রেন ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা কিশোরগঞ্জের এগারো সিন্ধু প্রভাতীর। ট্রেনটি ৯টা ২৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। এছাড়া ৮টা ১৫ মিনিটের মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়েছে বেলা ১১টার কিছু পর।


ঈদ উপলক্ষে পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যেতে কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্ধু প্রভাতীর টিকিট কেটেছিলেন রফিকুল ইসলাম। ছেলে-মেয়ে ও মাকে নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে যান ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময় আগেই। তবে দুই ঘণ্টা পার হলেও ট্রেন কমলাপুর ছাড়েনি।


রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনের জন্য যদি অপেক্ষা করতেই হয়। তাহলে আর স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া হলো কোথায়? আগে ট্রেনের টিকিট কেটেই কী লাভ হলো? সেই দুর্ভোগই পোহাতে হচ্ছে। গরমে ছেলে-মেয়ে আর মা কষ্ট পাচ্ছেন।’


মোহনগঞ্জগামী সালমা আক্তারও জানালেন ট্রেনযাত্রার ভোগান্তির কথা। তিনি বলেন, ‘স্টেশনে খুব একটা ভিড় নেই। ঈদের প্রথম ট্রেন। এরপরও কেন এমন শিডিউল বিপর্যয়।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে বাসে যাওয়াই ভালো ছিল।’


তবে কমলাপুরের স্টেশন মাস্টারের দাবি, অধিকাংশ ট্রেন সময় অনুযায়ী ছেড়েছে। স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদের এ সময়টায় একঘণ্টা বা তারও বেশি দেরি স্বাভাবিক হিসেবেই দেখতে হবে। তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে যেন ট্রেন সময়মতো ছেড়ে যায় সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com