
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
২১ এপ্রিল, রবিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, পানি শূন্যতা থেকে রক্ষায় প্রচুর পানি পান করতে হবে, তৃষ্ণাবোধ না করলেও সময় অন্তত পানি খেতে হবে- ঠাণ্ডা পানি ও বরফ পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা অথবা টুপি রাখতে হবে। শরীরে কোনরূপ অস্বস্তি দেখা দিলে ওরস্যালেলাইন অথবা লেবুপানি খেতে হবে। খাবারের মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার কমিয়ে শাক সবজি বাড়াতে হবে। সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষার জন্য রোদ চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গতি কমিয়ে সারা দেশে ট্রেন পরিচালনার নির্দেশ দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশে স্থান ও রেললাইনের বয়স বিবেচনায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এটাকে রেলের ভাষায়, স্ট্যান্ডিং অর্ডার বা স্থায়ী আদেশ বলা হয়।
কারণ, প্রতিবছরই গরমের সময় এই ধরনের নির্দেশনা দিয়ে থাকে রেল কর্তৃপক্ষ। মূলত বেলা ১১টা থেকে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গতি কমানো হয়। কারণ, এই সময়টাতেই রেললাইন বেশি গরম হয়।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, পৃথিবীর উপরিভাগে যত তাপমাত্রা থাকে, রেললাইনে তার চেয়ে ১০ বা ১২ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা তৈরি হয়। রেলের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে রেললাইনের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রয়েছে। তারা মেপে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেলেই গতি কমানোর নির্দেশনা আসে। এই তাপমাত্রায় নতুন লাইন বেঁকে যেতে পারে। লোহার পাত জোড়া দিয়ে দিয়ে সমান্তরাল রেললাইন বসানো হয়। জোড়াগুলোর জায়গাতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়। যাতে তাপে লোহার সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। কিন্তু অত্যধিক তাপে সম্প্রসারণ বেশি হয়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]