তহবিল সংগ্রহ ও আধিপত্য বিস্তার করতেই ব্যাংকে হামলা: র‍্যাব
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫
তহবিল সংগ্রহ ও আধিপত্য বিস্তার করতেই ব্যাংকে হামলা: র‍্যাব
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বান্দরবনে সোনালী ব্যাংকে ন্যাশনাল কুকি-চিনের (কেএনএফ) ডাকাতির উদ্দেশ্যে শক্তিমত্তা দেখানো, আধিপত্য বিস্তার ও তহবিল সংগ্রহ বলে ধারণা করছে র‍্যাব।


৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।


খন্দকার আল মঈন বলেন, পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনসহ কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে। তার মধ্যে এমন হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এখন জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে যৌথবাহিনী।


তিনি বলেন, বান্দরবানের রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকে রাত সোয়া ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আমরা ধারণা করছি সন্ত্রাসী সংগঠন কে এন এফ হামলা চালায়। হামলার সময়ে বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে। আমরা যতটা জেনেছি হামলায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করে। আপনারা জানেন কেএনএফের রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম চালানোর বিষয়টি সর্ব প্রথম র‍্যাব সামনে এনেছে। কেএনএফ টাকার বিনিময়ে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয়, অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। এই প্রশিক্ষণের জন্য তারা তিন বছর মেয়াদী চুক্তি করেছিল। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় র‍্যাব দীর্ঘ একটি অভিযান চালায়। অভিযানে ট্রেনিং সেন্টার শনাক্ত, বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ শতাধিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও কুকি-চিনের ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।


কেএনএফ’র সঙ্গে আলোচনা চলছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অভিযানের ফলে অনেকটা কোনঠাসা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছিল। এই কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিনের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রাখে। এই আলোচনা চলমান অবস্থায় গত ২ এপ্রিল শতাধিক কে এন এফ সদস্য সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাংলাদেশ পুলিশের ১০ টি অস্ত্র ও আনসারের ৪ টি অস্ত্র লুট করে।


ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন ভোল্টের চাবি না দেওয়ায় তাকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপরের দিন তারা থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে। ব্যাংক দুটি থেকে বোল্টের চাবি নিতে না পারলেও ব্যাংকে থাকা গ্রাহকের বেশ কিছু টাকা নিয়ে যায়।


প্রথম দিনের হামলায় তারা কোনো গাড়ি ব্যবহার করে নি। রাতের বেলা এসেছিল। প্রথম দিন বিদ্যুৎ না থাকায় কোনো ফুটেজ ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের হামলায় তারা চাঁদের গাড়ি ব্যবহার করে। এই দিনের বেশ কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে, বলেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com