
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, টিকিট কালোবাজারির প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা ইতোমধ্যে টিকিট কালোবাজারির কয়েকটি সিন্ডিকেটকে ধরেছি।
২৬ মার্চ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের রেলগেট এলাকায় শহীদ স্মৃতি চত্বরে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি রেলের টিকিটটা কালোবাজারি মুক্ত রাখতে। জনগণকে বলব আপনারা কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়, রেলকে ধ্বংস করতে চায়।
জিল্লুল হাকিম বলেন, আজকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। পাকিস্তানি হানাদার ও একাত্তরের ঘাতক দালালরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা ফরিদপুরের রেল ও রাজবাড়ীর ভাটিয়াপাড়ার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর শুধু রেল নয় সর্বক্ষেত্রে উন্নতির শিকড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই রেলের দায়িত্ব নিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। আমরা ৮০০ থেকে ৮৫০ ইঞ্জিনসহ ট্রেনের বগি আমদানি করার চেষ্টা করছি। সেগুলো আমদানি করতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ উন্নয়ন চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকের স্বাধীনতার এই দিনে আমাদের শপথ হবে, আমরা দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে সহযোগিতা করবো।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহ-সভাপতি রেজাউল হক রেজা, ফকরুজ্জামান মুকুট, সালমা চৌধুরী রুমাসহ জেলা আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/মিঠুন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]