
ভুটানের ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এসময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
২২ মার্চ, সকালে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় জেলায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরও পরিদর্শন করেন।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংয়ের গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা ‘পাসাখা স্থলবন্দর’ পরিদর্শনে যান। একইসঙ্গে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম. হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়ের ‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটান ও নেপালের সাথে স্থলপথে আমদানি রফতানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের বাইরে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পৃথক বলয় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের সমন্বয়ে সার্কের বাইরে পৃথক বলয় গড়ে উঠলে এসব দেশের মধ্যে স্থলপথে আমদানি রফতানি বাড়বে।
স্থলপথে আমদানি-রফতানি-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ অঞ্চলের স্থল রুটসমূহের বিদ্যমান সুবিধাদি, সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সরেজমিন পরিদর্শন করার লক্ষ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২৩ মার্চ) নেপালের সীমান্ত কাকরভিটায় যাবেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]