
সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কবলে জিম্মি বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিকের একজন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ আহমদ। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত ছিলেন। সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। পরিবারে চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
১৩ মার্চ, বুধবার বিকেলে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় অনেক উৎকণ্ঠার মধ্য রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ পরিবারটি।
স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন। এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে এই কলে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে। প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিতে উঠে নাবিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে দুইজনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজুর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
এদিকে, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর গ্রামের বাড়িতে এ খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিখা যায়, পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছে।
নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, রাজু গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছে। গত বছর জুলাই মাসে সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। সর্বশেষ চার মাস আগে সে পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেয়।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। তারা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ছিল।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]