ডেঙ্গু মোকাবেলায় বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৭
ডেঙ্গু মোকাবেলায় বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

এডিস মশার প্রকোপ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনগুলোতে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ বরাদ্দের মধ্যে ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।


৬ মার্চ, বুধবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কার্যক্রম বিষয়ে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ জানান।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সামনে এডিস মশার প্রকোপ বাড়বে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসিদের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত। কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এখন ঢাকার বাইরেও তা ছড়িয়েছে। গ্রামেও এখন নতুন ভবন, বাড়িঘর হয়েছে। পানি জমে থাকার সুযোগও আছে। সে জন্য গ্রামাঞ্চলেও এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। তাই জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ হাতিয়ার। বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জন্য পাঁচ কোটি টাকার ওষুধ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে যদি আমরা ঢাকার বাইরে এক শতাংশ এডিস মশার প্রকোপ দেখতাম, বাকি ৯৯ শতাংশই দেখা যেতো ঢাকা শহরে। গত বছর এডিস মশার প্রকোপ ঢাকায় কমে নেমেছে ২০ শতাংশের নিচে। কিন্তু ঢাকার বাইরে হয়েছে ৮০ শতাংশ।


এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সঠিকভাবে দেখভাল করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে ডিসিদের মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com