বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১১ প্রকল্প নেয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৬
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১১ প্রকল্প নেয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার অগ্রগতির তথ্য সংসদে তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এ বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে দূষণ রোধসহ সম্পদে রূপান্তর করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।


১৮ ফেব্রুয়ারি, রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান।


সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম আরো জানান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রাপ্ত ১৩টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে ৪টি প্রস্তাব নির্বাচন করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চলছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে ইনসিনারেশন প্লান্ট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি ইনসিনারেশন প্লান্ট স্থাপন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে।


একই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, সিটি করপোরেশনে উৎপাদিত বর্জ্যরে ৩৯ শতাংশ ঢাকা শহরে উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ টন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২১৩ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সব থেকে কমপক্ষে ১২০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়।


তিনি আরো জানান, বাসাবাড়ি থেকে প্রতিদিন এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জমা করা হয়। এরপর ট্রাকের মাধ্যমে তা ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়।


বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম জানান, সংসদ সদস্যরা নির্বাচনের আগে নিজ নিজ এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসনপ্রতি ৫ বছরে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের নির্দেশনা দেন। সেই আলোকে এরই মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা এখনো চলমান। এ প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ হলে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।


আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, এলজিইডির আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৪০০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন ও পুনর্খনন, ৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, ১২০টি রেগুলেটর নির্মাণ ও সংস্কার, ১১০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উন্নয়নকাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com