আগামীকাল মওলানা ভাসানীর ৫২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯
আগামীকাল মওলানা ভাসানীর ৫২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আগামীকাল (২২ জানুয়ারি) ২০২৪, স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা, উপ-মহাদেশের মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫২তম বার্ষিকী।


মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত অবস্থানের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলার কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের কণ্ঠস্বর মওলানা ভাসানী স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন।


১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ১২ দিন পর ঢাকার পত্রপত্রিকায় মওলানা ভাসানীকে নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি শুরু হলে ভারত সরকার মওলানা ভাসানীকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন। তখন তার স্বাস্থ্য ভালো ছিলো না।


দিল্লী থেকে দেশে ফেরার আগে তিনি আসামে ২১ জানুয়ারি ১৯৭২ আসামের ফরিদগঞ্জে এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস, পাকিস্তানের বর্বরতা ও ২৩ বছরের শোষণের একটি চিত্র তুলে ধরেছিলেন। পরদিন ২২ জানুয়ারি মেঘালয় থেকে তিনি ভারত সরকারের একটি জিপে বাংলাদেশের হালুয়াঘাটে পৌঁছেন। তার সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ছিলেন। হালুয়াঘাটে মহান নেতা মওলানা ভাসানীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক খসরুজ্জামান চৌধুরী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা।


১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ অর্থাৎ আজকের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের প্রধান নেতা, ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে 'আসসালামু আলাইকুম' উচ্চারণ, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতি মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার ৫৩ বছরের সরকারগুলো প্রাপ্য মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।


ভাসানীর 'খামোশ' ধ্বনি জাতি শুনতে চায়: বাংলাদেশ ন্যাপ


বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস মওলানা ভাসানীকে ছাড়া রচনা সম্ভব নয়। যারা স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে ইতিহাস রচনা করতে চান তারাই একদিন ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবেন।


২১ জানুয়ারি, রবিবার মওলানা ভাসানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।


নেতৃদ্বয় বলেন, শাসকগোষ্টির দেশবিরোধী-গণতন্ত্র বিরোধী, লুটেরাগোষ্টির বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর 'খামোশ' উচ্চারণ জাতি এখনো শুনতে চায়। মজলুম জননেতা ভাসানী মার খাওয়া মানুষের নেতা। মেহনতি মানুষের ‘লাল মওলানা’ রামধনুর মতো। অনেক রং, একটার সঙ্গে আর একটা মিশে যাচ্ছে। কখনও আবার মিশছে না, পাশাপাশি ছুঁয়ে আছে একে অন্যকে।


তারা বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বহুমাত্রিক মানুষের মত, এই উপমহাদেশের মত। এই মাটিকে আত্মস্থ না করে, এই মাটির কৃষক চেতনা এবং কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাসের নিবিড় পাঠ ব্যতিরেকে তাঁকে বোঝা অসম্ভব।


মওলানা ভাসানী আজীবন ছিলেন মজলুমের কণ্ঠস্বর। আপোসহীন ভাষায় উচ্চারণ করেছেন ‘খামোশ’! শান্তি এবং নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছেন পুরো পৃথিবী জুড়ে। এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলার জনপদ, থেকে গেছেন কৃষক-শ্রমিক মজলুম মানুষের হৃদয়ে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও গণতান্ত্রিক সংকট উদ্ধারে মওলানা ভাসানীকে আজকে বড়ই প্রয়োজন; যে চিৎকার দিয়ে শ্লোগানে বলতে পারবে 'বাঁশের লাঠি তৈরি কর, গণতন্ত্র কায়েম কর'।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com