প্রায় ৬ বছর পর আগামীকাল সোমবার খুলনায় যাবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবরে স্থানীয়দের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এবারের আগমন ঘিরে অতীতের তুলনায় উদ্দীপ্ত দলীয় নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের বিশাল বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভাস্থলে প্রবেশের পথগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে পদ্মা সেতু ও নৌকার আদলে সভামঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি খুলনার ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সঙ্গে নতুন প্রকল্পের ঘোষণাও দিতে পারেন।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনার জনসভা সফলে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনার এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় রয়েছে খুলনাবাসী।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বিবার্তা/তুরান/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]