তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়, চিঠি নিয়ে ফিরে গেছেন ইসি কর্মকর্তা
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৮
তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়, চিঠি নিয়ে ফিরে গেছেন ইসি কর্মকর্তা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর)। দলগুলোকে ইতিমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তবে বিএনপির চিঠি নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন ইসির প্রতিনিধি।


২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।


নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা মো. মহসিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ওই চিঠি নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখেন। কিন্তু বাইরে সতর্ক পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্যা তাকে থামিয়ে বলেন, অফিস বন্ধ, ভেতরে কেউ নেই। এর পরেই ফিরে যান তিনি।


পরে ওই ইসি কর্মকর্তা কার্যালয়ের পাশে হোটেল ভিক্টোরিয়াতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি টেলিফোনে বিএনপির অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপিসহ ৪৪টি নিবন্ধিত দলের সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিবকে এই চিঠি দিচ্ছে ইসি।


আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শনিবার সকালে ও বিকালে দুই ভাগে ২২টি করে দলের সঙ্গে এই সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


বিএনপি মহাসচিব বরাবরে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ নভেম্বর বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হবে। এতে আপনার দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মনোনীত দুইজন প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুরোধ জানিয়েছেন।


কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুদফা সংলাপে বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি। সে কারণে বিএনপি ও সমমনা দল এবং সিপিবি, বাসদসহ সংলাপ বর্জন করা ৯ দলকে গত মার্চে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাতেও সাড়া দেয়নি দলগুলো।


গত ২৮ অক্টোবর কাকলাইল ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরদিন রবিবার হরতাল ডাকে দলটি। এরপর মঙ্গলবার থেকে ডাকা হয় তিন দিনের অবরোধ। বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।


শনিবারের ওই সংঘর্ষের পর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে পাহারা বসায় পুলিশ। কার্যালয়ের পাশের ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ করে দেয় তারা।


বৃহস্পতিবার বিএনপির ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিন নয়া পল্টনে গিয়ে দেখা যায়, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং সড়কের আইল্যান্ডে থাকা বড় বড় ব্যানার-ফেস্টুনগুলো আর নেই। সিটি করপোরেশনের লোকেরা রাতে এসে সেগুলো খুলে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয় কয়েকজন জানান।


কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরারগুলো নতুনভাবে লাগানো হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের সময় কিছু সিসিক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।


পুলিশ সদস্যরা গত চারদিনের মতই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে।


কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বিভিন্ন চিঠি কলাপসিবল গেইটের ভেতরে চেয়ারে রেখে যাচ্ছেন কুরিয়ার কর্মীরা।


এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা কারাগারে রয়েছেন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত দুদিন ধরে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন করছেন। গ্রেফতার আতঙ্কে আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com