ডেঙ্গু বিপর্যয়ে বাংলাদেশ, শেষ কোথায়?
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৭
ডেঙ্গু বিপর্যয়ে বাংলাদেশ, শেষ কোথায়?
এস এম রিয়াদ রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

চলতি বছর এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক বেড়েছে। দিন যতই যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততই ভয়ংকর হচ্ছে। আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও।


এ বছরের আরো কয়েক মাস বাকি থাকতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দেশের অতীত ইতিহাসের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ভয়ানক দিকে যাচ্ছে। অর্থাৎ, মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।


গত আগস্ট মাসেই ডেঙ্গুতে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু। চলতি বছরে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অতীতের ২৩ বছরের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে চলতি বছর ডেঙ্গুতে এই প্রথমবারের মতো মৃত্যুর সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩৪ জন ও আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০২জন যা দেশে সর্বোচ্চ।



এর আগে গত বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ২৮১ জন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জন মারা গিয়েছিল। এ ছাড়া ২০২১ সালে ১০৫, ডেঙ্গুর শুরুর বছর ২০০০ সালে ৯৩, ২০০২ সালে ৫৮ ও ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। মাঝখানে ২০০৭ থেকে ২০১০ ও ২০১৪ সালে এই পাঁচ বছর ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। বাকি বছরগুলোতে মৃত্যু সর্বোচ্চ ২৬ জন থেকে সর্বনিম্ন একজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।



জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে এ বছর তিনটিই সক্রিয়। আর এই একাধিক ডেঙ্গুর ধরনে মৃত্যু ও জটিলতা বাড়ছে। আর মশা আচরণ বদলে ফেলেছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিস মশা বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এখন ডেঙ্গুর মৌসুম সারা বছরই শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় বিদ্যমান। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু থেকে মানুষকে বাঁচাতে মশা নিধন কর্মসূচি সারাবছর করতে হবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যায়, প্রতি বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসেই এর মাত্রা বাড়তে থাকে। তবে ২০২২ সালে অক্টোবর মাস পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডেঙ্গু এবং সেটি বর্ধিত হয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর, জানুয়ারি পর্যন্ত এসেছিল।



চলতি মৌসুমে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে জুনের দিকে। পরবর্তীতে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে ভয়ঙ্কর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি মানুষ জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। আর আগস্ট মাসে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪২ জনে।



৯ আগস্ট, রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ২৬০৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯২ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭১৬ জন।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ৮৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৯২৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৯১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।


এর আগে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ঢাকায় ১৭ জন আর ঢাকার বাইরে ৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে এ বছর সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৬১৮ জনের। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৬ জনের আর ঢাকার বাইরে মৃত্যু হয়েছে ১৬২ জনের।


চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৬৩৪ জনের। এছাড়াও পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৬০ হাজার ৪৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৮১৮ জন।


এ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানী ড. কবিরুল বাশার বিবার্তাকে বলেন, ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতা আমাদেরকে সত্যি ব্যথিত করে। কোনো মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়। যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বটুকু পালন করলে এ মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব। বিশেষ করে মৃত্যু হয় রোগী বেশি দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে। আমি সকলকে অনুরোধ করব ডেঙ্গু বা এই মুহূর্তে যেকোনো জ্বর হোক না কেন, সেটি সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করিয়ে নিবেন। যদি আপনার ডেঙ্গু হয় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে থাকবেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো থাকলে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই কম থাকে।


তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের সকল জেলা উপজেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ জানে না কেন উপজেলাতে ডেঙ্গু হচ্ছে। সে গবেষণাটা কে করবে, সে গবেষণার ফাইন্ডিং কে দেবে সেটি রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে। এটা ভাবলে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটাকে আরও জোরদার করবে।


ড. কবিরুল বাশার বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ইতিপূর্বে আমরা দেখলেও এখন ডেঙ্গুর মৌসুম সারা বছরই শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় বিদ্যমান। বৃষ্টিপাতের কারণে এডিস মশা প্রজননের হার জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। এজন্য ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এত বেশি। এছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ু পরিবর্তনও আমরা কারণ হিসেবে দেখে থাকি।


তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক মৌসুম ছিল আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল। ২০২২ সালে সেটি শুধু হয়েছিল অক্টোবরে এবং সেটি বর্ধিত হয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর, জানুয়ারি পর্যন্ত এসেছিল।


ড. কবিরুল বাশার বলেন, আমরা জানতাম এডিস মশা শুধু পরিষ্কার পানিতে হয়, কিন্তু এখন দেখছি এডিস মশা নোংরা পানিতেও হয়। আবার আমরা জানতাম যে এডিস মশা শুধু দিনে কামড়ায়। কিন্তু এডিস মশা এখন দিনে ও রাতে যেকোনো সময় কামড়ায়, সেটি আমরা পরীক্ষাগারে ও মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছি।


তিনি বলেন, মশাবাহিত রোগ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তাই এটি মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। যে প্রতিষ্ঠানটি বাহক বাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা করবে এবং বাহক বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক, যন্ত্রপাতি এসব নিয়ে গবেষণা করবে। এটি রাষ্ট্রের একটি অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে, কোন যন্ত্রাংশ দিয়ে কীটনাশকের মাধ্যমে কোন মশা কোন বাহককে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।


ড. কবিরুল বশার বলেন, এডিস নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, যে পরিকল্পনাটি হবে ১০ বছর মেয়াদি। এ পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে হবে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা এবং প্রত্যেক বাড়ির মানুষকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা। মানুষের বাসা-বাড়ি, বাসা-বাড়ির আঙিনায় যেহেতু এডিস মশা হয়, সেহেতু এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মানুষের বাসা-বাড়ি টার্গেট করে পরিষ্কার করতে হবে এবং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।


প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আব্দুল্লাহ্ বিবার্তাকে বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন বেড়ে চলছে মশাবাহিত ভয়ঙ্কর রোগ ডেঙ্গু। ২০২২ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ ছিল। সে সময় আক্রান্ত ছিল ৬২ হাজারের বেশি এবং মারা যায় ২৮১ জন। তবে এবার সেটাও ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর যে হিসাব আসছে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। শহর কিংবা গ্রাম কোন জায়গায় এ মশাবাহিত রোগ থেকে মানুষ নিরাপদ নয়।


তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে একাধিকবার যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে এবং শক সিনড্রোম ও হেমারেজিক অবস্থার কারণে ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু হচ্ছে। ডেঙ্গুর ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ এবং ডেন-৪ এই চারটি সিনড্রোম রয়েছে। প্রথমবার আক্রান্ত হলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দ্বিতীয়বার এই চারটি ধরনের অন্য আরেকটি দ্বারা যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্য তা খুব বিপজ্জনক। একজন মানুষ জীবনে চারবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। ডেঙ্গুতে একাধিকবার যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সমস্যা বেশি হচ্ছে এবং শক সিনড্রোম ও হেমারেজিক অবস্থার কারণে ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু হচ্ছে।


এ বি এম আব্দুল্লাহ্ বলেন, তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সকলের সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার। শুধু সরকার বা সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিলেই হবে না। কারও ঘরে-বাইরে যেন কোন পানি জমা না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। নিজেকে মশার কামড় থেকে বাঁচাতে হবে। কারণ এডিস মশা ঘর-বাড়ির যেখানেই জমা পানি পায় সেখানেই জন্ম নেয়।


প্রতিটি ঘর-বাড়িতে বিশেষ করে ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে, ছাদ বাগানে, ফুলের টপে, পরিত্যক্ত পাত্রে এসব জায়গা জনগণের নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিজের ঘর-বাহির পরিস্কার রাখার দায়িত্ব তো তাঁকেই নিতে হবে। সরকার বা সিটি করপোরেশন তার যে কাজ তা করবে। জনগণ যদি তার নিজের ঘর-বাড়ি পরিস্কার না রাখে তাহলে ডেঙ্গু নির্মূল করতে পারবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।


এ বি এম আবদুল্লাহ আরো বলেন, দেশে ডেঙ্গু নির্মূলের জন্য প্রশাসন জনগণ সবাইকে সম্প্রীতির সাথে মিলে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে একসাথে ডেঙ্গু নির্মূলের ব্যবস্থা নিলে নির্মূল হয়তো হবে না তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তা না হলে এভাবে চলতেই থাকবে। যা আগামী বছরগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকট আরও বাড়বে।


ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে খুব বেশি প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় না বলে জানান এ বি এম আব্দুল্লাহ্। তিনি বলেন, রোগীদের যারা মারা যায় তারা প্লাটিলেট কমের জন্য মারা যায় না। অনেকে মারা যায় প্লাজমা লিকেজের ফলে। শরীর থেকে লিকুইড চলে যায় এ কারণে। যেমন প্রেসার কমে যায়, প্রস্রাব হয় না, কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর শকে চলে যায়। এসব নানা কারণে রোগীরা মারা যায়। এ কারণে অযথা প্লাটিলেট নিয়ে চিন্তিত হবেন না। বেশির ভাগ ডেঙ্গু রোগের প্লাটিলেট বা রক্ত লাগে না।


স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বিবার্তাকে বলেন, দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। সারাদেশে ডেঙ্গুর নিয়মিত পরিস্থিতি ও সকল কার্যক্রম দেখভাল করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।


এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।


বিবার্তা/রিয়াদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com