নির্বাচনের আগে দুদকের ক্লিন সার্টিফিকেট পেতে মরিয়া অভিযুক্ত সংসদ সদস্যগণ
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪৫
নির্বাচনের আগে দুদকের ক্লিন সার্টিফিকেট পেতে মরিয়া অভিযুক্ত সংসদ সদস্যগণ
সানজিদা আক্তার
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর ক্লিন সার্টিফিকেট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে অভিযুক্ত সংসদ সদস্যগণ।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পনের থেকে বিশ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় সংস্থাটি তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালায়। তাদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ আরো কয়েক ধরনের অভিযোগ জমা হয়।


২০২১ সালের ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল জ্যাকবকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চলমান অনুসন্ধান শেষ করে দুদক। এরপর একই বছরের মার্চে চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতাও পান দায়মুক্তির চিঠি। এছাড়া এ বছরের মে মাসে সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী আর জুন মাসে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বাবু পান ক্লিন সার্টিফিকেট।


ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠা অন্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম দ্রুত শেষ হলেও পাঁচ সংসদ সদস্যের অনুসন্ধান থমকে ছিল। তবে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সামশুল হক চৌধুরী ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম বাবু দায়মুক্তি পান। সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথসহ অনেকে দায়মুক্তি পেতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই জানায় সূত্রগুলো।


সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বি এম মোজাম্মেল হক, কামরুল আশরাফ খান পোটন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, শামসুল হক ভূঁইয়াকে নিয়ে খাতা খোলা হয়েছিল দুদকে। তারাও দুদকের ক্লিন সার্টিফিকেট পেতে তদবির চালাচ্ছে বলে জানায় সূত্র।


রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এছাড়া বিকল্পধারার মাহি বি চৌধুরী, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম রয়েছেন এই তালিকায়।


সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জন অনুসন্ধান কার্যক্রম চালালেও দৃশ্যমান কোনো দুর্নীতি প্রমাণে অগ্রগতি হয়নি বলেই জানান অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টরা। তবে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ বর্তমানে কার্যত ফাইলবন্দি। অনুসন্ধান দ্রুত পরিসমাপ্তির ব্যাপারে দুদকের ওপর চাপ রয়েছে। চাপ উপেক্ষা করে দুদক কর্মকর্তারা অনুসন্ধান চালালেও একপর্যায়ে থেমে যায় বলে জানা যায়।


আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী ও শুদ্ধি অভিযানের পর ওই বছরই অক্টোবরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। যেখানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ঠিকাদারসহ প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে ছিল এমন অভিযোগ।


সরকারের ৫ মন্ত্রী, ৩৫ এমপি, সাবেক ১০ মন্ত্রী ও ৫০ এমপি, ৪ সিটি মেয়র, ৬ পৌর মেয়র, ঢাকাসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের শতাধিক, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক কর্মকর্তা, অধিপ্তরের ৩০ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩০-৪০ সদস্যের দুর্নীতির অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


চট্রগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মাদক ও তদবির-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর সংস্থাটি গত ৮ মে অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। দুদকের সচিব মাহবুব হোসেনের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।


তবে দায়মুক্তি বা অব্যাহতি বলতে চাননি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তিনি বিবার্তাকে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা নিজেরাই এখন হারিয়ে যাচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে দুদক অনুসন্ধান করছে এ ব্যাপারে দুদক আমাকে কখনোই কিছু জানায়নি। লোকমুখে আর পত্রিকায় শুনেছি আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। তবে দুদকের শেষ পর্যন্ত শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে এবং অনুসন্ধানে কোন কিছু পায়নি। তদন্তের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আমার জন্যই লাভের হল। এত অনুসন্ধান করেও আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কিছু পায়নি।


নির্বাচনের আগে এরকম অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়া নির্বাচনী প্রচারণায় সুবিধা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সাধারণ মানুষ আগেও আমাকে ভালোবাসতো, এখনো ভালোবাসে। অভিযোগ পড়ার পরও আমি দেখিনি আমার কোন বিরোধীপক্ষ এই দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে কিছু পায়নি দুদক এটাও মানুষ জানতে পেরেছে, যা আমার সততা সম্পর্কে মানুষকে অবগত করেছে।


সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসে দুদকে। এই অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়ে পরে থেমে যায়। তিনিও দুদক থেকে ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’ পেয়েছেন। অভিযোগ পরিসমাপ্তি করে ১২ জুন তাকে চিঠি দিয়েছে দুদক। তিনি অবশ্য গণমাধ্যমকে এই অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে করা বলেই জানান।


সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি দখল, হাওরে বালু-পাথর উত্তোলন ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২০২০ সালে তিনি তলব নোটিশ পেয়ে দুদকে গিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, তিনি হলুদ সাংবাদিকতার শিকার।


মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বিবার্তাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়েছে। সেটা নিয়ে দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। আমি আগেও বলেছি অনুসন্ধান যে কারো বিরুদ্ধে হতেই পারে। অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারলে অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করে দেয়া উচিত।


এমন অভিযোগে বিব্রত বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রতন বলেন, বিব্রত হলেও কিছু করার নেই। অভিযোগ পড়েছে, অনুসন্ধান হবেই। আমি আমার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছি। বাকিটা দুদকের কাজ।


অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে বিদেশে টাকা পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানের স্বার্থে সংস্থাটি তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেয়। তবে তা আদালতে টেকেনি।


বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকায় ১০ তলা বাড়ি, ফ্ল্যাট, পরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগ, কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি এবং ভারতে বিনিয়োগ। ২০১৯ সালে তারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।


রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, খাস জমি ইজারায় দুর্নীতি, সার ডিলার নিয়োগে অনিয়ম, স্কুল কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ অন্তত ২০ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে জমা পড়ে। এরপর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওমর ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন এক অনুসন্ধান কর্মকর্তা।


শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মার্চে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ- দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে শরীয়তপুর ও ঢাকায় কয়েকশ বিঘা জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে কিনেছেন।


এর আগে ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থে নিজেদের পুকুর খননের অভিযোগে দুদকে একটি অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ওই অভিযোগও অনুসন্ধান চলমান আছে। নতুন অভিযোগ পেয়ে এবার ফের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।


ওই অভিযোগে বলা হয়েছিল, মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় শরীয়তপুরের জাজিরা, গোসাইরহাট ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১১টি পুকুর ও খাল খনন করা হয়। খনন করা ওইসব পুকুর ও জলাশয় তৎকালীন সাংসদ, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল।


মোজাম্মেল হক সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় তার পছন্দের লোকদের দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩১ লাখ টাকায় নয়টি পুকুর ও দুইটি জলাশয় খনন করান বলে অভিযোগ রয়েছে।


নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন) এর বিরুদ্ধে ৭২ হাজার টন সার আত্মসাৎ করে সরকারের ৫৮২ কোটি টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ উঠলে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এর কাছে এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সার আত্মসাতের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য গত ৫ জানুয়ারি দুদককে নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর কমিশন এ অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৯ মার্চ দুদকের উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ও মো. আবুল কালাম আজাদ। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিসিআইসির কাছে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।


গত ১১ মে সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব বলেছিলেন, অভিযোগ পরিসমাপ্তি মানে একেবারেই শেষ নয়। ভবিষ্যতে কমিশন মনে করলে আবারও অনুসন্ধান শুরু হবে। সেসময় অনুসন্ধান বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান এখনো শেষ হয়নি। কর্মকর্তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবার্তাকে বলেন, আলোচিত ঘটনার আলোকে অনুসন্ধানে ব্যক্তি কিংবা অবস্থান বিবেচনা করে ছাড় দেওয়া হলে দুদকের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হবে।


দুদকের কমিশনার( তদন্ত) জহিরুল হক বিবার্তাকে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছে। সে রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন মনে করেছে তাদের অভিযোগ দায় মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। অভিযোগ আমলে নিতে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেতে হবে তো।


জাতীয় নির্বাচনে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিপক্ষে স্পষ্ট অবস্থান থাকবে দুর্নীতি দমন কমিশনের। গত ২৫ জুন ‘রিপোর্টার এগেইনস্ট করাপশন’ এর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় দুদকের এই অবস্থান জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।


সভায় বিবার্তা প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ, যারা কালো টাকার মালিক- তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা, সে যেই হোক। আমরা প্রত্যাশা করি না দুর্নীতিবাজরা কোনো নির্বাচনে আসবে। আমাদের বক্তব্য তারা যেন নির্বাচনে না আসে।’


বিবার্তা/সানজিদা/রোমেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com