জনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নৈতিকতা পরিপন্থি এবং জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোন শিল্প-নকশা মালিকানা স্বত্ব পাবে না, এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা বিল-২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিরোধী দলীয় সদস্যরা বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। দ্যা পেটেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট-১৯১১ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ১ নভেম্বর সংসদে বিলটি তোলা হয়েছে। এর আগে বিলটি গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিলে বলা হয়, আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি দেওয়া সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে ৫ বছর। কারো যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রা অর্ডিনারি কোন রকম কিছু থাকে, তাহলে তিনি দরখাস্ত দিলে আরও ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
সংসদে পাস হওয়া বিলের বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয়, অন্য কেউ প্রতারণামূলকভাবে যদি তা ব্যবহার করে, তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যমান আইনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদপ্তর ছিল, নতুন আইনেও সেটা বহাল থাকছে। এই অধিদপ্তরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]