সোনালি ব্যাগের জন্য ১০ কোটি টাকার প্রকল্প
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ২১:২৩
সোনালি ব্যাগের জন্য ১০ কোটি টাকার প্রকল্প
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পাট থেকে উৎপাদিত ‘সোনালি ব্যাগ’ বাজারজাতকরণ ও রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার করতে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট থেকে এই টাকা ব্যয় করা হবে বলে জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। মন্ত্রী আশা করেছেন, এই প্রকল্পের ফলে সোনালি ব্যাগের দাম কমতে পারে।


৪ জুলাই, মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য গাজী মোহম্মদ শাহনওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিন বাজারজাত করা এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে পুনঃব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান আবিষ্কৃত পাটজাত পলিথিন (বায়োডিগ্রেডেবেল বায়োপ্লাষ্টিক) ‘সোনালী ব্যাগ’ এর দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।


মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৪০টি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


মন্ত্রী জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৫৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৭৭১ দশমিক ৫৫ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।


মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য গৃহস্থালি বর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এবং ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদফতর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপননের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ বা সীমিত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী, পরিবহনকারী, বিক্রেতা এবং মজুদদারকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে নিয়মিত জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে এবং পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণার কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com