রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২মে) ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সাথে সাক্ষাৎকালে এ আহবান জানানো হয় বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও রোহিঙ্গাদের অবস্থান শুধু বাংলাদেশে না, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সরকার ও জনগণের সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতে অবস্থাকালীন সময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ও ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সফরের ফলে দুদেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে উল্লেখ করে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তাতে দু' দেশের ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের বাণিজ্যিক অনুমতি পেয়েছে ভারত।

এর আগে, ২০১৮ সালে ভারতে এসিএমপি চুক্তি স্বাক্ষর করে ঢাকা ও দিল্লি। যার আওতায় ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ।

পানি বণ্টন চুক্তিসহ দু'দেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। গত দেড় দশকে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উভয় দেশের জনগণ তার সুফল ভোগ করছে।

বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের টলারেন্স নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে যা দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সচিবগণ ও ডেপুটি হাইকমিশনার বিনয় জর্জও উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/সানজিদা/কেআর