পহেলা বৈশাখ: অসাম্প্রদায়িক চেতনার সর্বজনীন উৎসব
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৫৯
পহেলা বৈশাখ: অসাম্প্রদায়িক চেতনার সর্বজনীন উৎসব
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। আবহমান কাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করে আসছে। আর এই উৎসবের প্রাণভোমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই উৎসবে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী, ধনী-গরিব, সকল বাঙালি এক মোহনায় মিলিত হচ্ছে। ফলে সর্বজনীন এই উৎসবের মূল চেতনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু তিনি তাঁর সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশ তাঁর নেতৃত্বেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করছে।


বঙ্গবন্ধু এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন, যে বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না, ভেদাভেদ থাকবে না। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একই কাতারে সামিল হবেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলেন। এই চেতনাকে তিনি সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। পাকিস্তান আমলের ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভেদ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মুক্তিযুদ্ধকালে ধর্মের নামে বাঙালিদের গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নানা দুঃসহ ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে বাঙালির শাশ্বত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সমাজ সংস্কৃতি ঐতিহ্য বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছিল বঙ্গবন্ধুকে। এর জন্য তাঁকে অপপ্রচার, দল ও দলের বাইরে বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু কিছুই তাঁকে এই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।


রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ১০ মাসের মাথায় ১৯৭২ সালে তিনি দেশবাসীকে যে সংবিধান দেন, তা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। ১৯৭২-এ তাঁর নেতৃত্বে প্রণীত সেই সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ‘ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের জন্য (ক) সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, (খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান, (গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার (ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার ওপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে।’ (বাংলাদেশের সংবিধান, অক্টোবর, ২০১১)। এই সংবিধান গ্রহণের সময় সংসদে দেওয়া বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট বলেছেন, ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’



বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার অংশ হিসেবে পহেলা বৈশাখে তাঁর জোরালো অংশগ্রহণও পাওয়া যায়। কারাগারে থাকা অবস্থায়ও তিনি বাঙালির প্রাণের এই উৎসব করতে ভুলেননি।



তিনি ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে ১৫ এপ্রিল ১৯৬৭ তে লিখেছেন,‘আজ বাংলা নববর্ষ, ১৫ এপ্রিল। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি নুরে আলম সিদ্দিকী, নুরুল ইসলাম আরও কয়েকজন রাজবন্দী কয়েকটা ফুল নিয়ে ২০ সেল ছেড়ে আমার দেওয়ানিতে হাজির। আমাকে সব কয়টা গোলাপ ফুল দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাল।...আমি ২৬ সেল থেকে ২০ সেলে বন্দী হাজী দানেশ, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, হাতেম আলি খান, সিরাজুল হোসেন খান ও মৌলানা সৈয়াদুর রহমান সাহেব, ১০ সেলে রফিক সাহেব, মিজানুর রহমান, মোল্লা জালালউদ্দিন, আবদুল মোমিন, ওবায়দুর রহমান, মহিউদ্দিন, সুলতান, সিরাজকে ফুল পাঠালাম। শুভেচ্ছা জানিয়ে আসলাম।


বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, জেলের ভেতরে ছোট ছোট জেল, কারও সাথে কারও দেখা হয় না— বিশেষ করে রাজনৈতিক বন্দীদের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। বিকেলে পুরোনো সেলের সামনে নুরে আলম সিদ্দিকী, নুরুল ইসলাম ও হানিফ খান কম্বল বিছাইয়া এক জলসার বন্দোবস্ত করেছে। বাবু চিত্তরঞ্জন সুতার, শুধাংশু বিমল দত্ত, শাহ মোয়াজ্জেমসহ আরও কয়েকজন ডিপিআর ও কয়েদি, বন্দী জমা হয়ে বসেছে। আমাকে যেতেই হবে সেখানে, আমার যাওয়ার হুকুম নাই, তবু আইন ভঙ্গ করে কিছু সময়ের জন্য বসলাম। কয়েকটা গান হলো, একজন সাধারণ কয়েদিও কয়েকটা গান করল। চমৎকার গাইল। ...আমি কারাগার থেকে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।


নববর্ষের প্রতি বঙ্গবন্ধুুর এই ভালোবাসা তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার পরেও অব্যাহত ছিল। ১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু পহেলা বৈশাখকে জাতীয় উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং এই দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁরই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁরই পথ ধরে ২০১৬ সালে নববর্ষের ভাতা প্রদান শুরু করেছেন। বর্তমানে ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা নির্বিশেষে বাঙালির প্রাণের উৎসব হয়ে উঠেছে ‘বর্ষবরণ’।


ষাটের দশকে বাঙালির রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুরু হওয়া এই বর্ষবরণ নাম ধারণ করে পহেলা বৈশাখ হিসেবে। ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসতো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথাও ‘পহেলা বৈশাখ’ পালন হয়নি। সেটা সম্ভবও ছিল না। তখন স্বাধীনতা এবং মুক্তির জন্য চলছিল লড়াই। ১৯৮৯ সাল থেকে উৎসবে যুক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। যেটা এখন অবধি চলছে।


বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে গত বছরের আগের দুই বছর নিষ্প্রভ ছিল বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এরপর গত বছর এই উৎসব পালন হলেও জৌলুস একটু কম ছিল। তবে এবার ১৪ এপ্রিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে বাঙালির পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন।‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে। ইতোমধ্যে শোভাযাত্রার সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উপলক্ষ্যে বুধবার,১২ এপ্রিল এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, বাংলা নববর্ষের উৎসব একটি সর্বজনীন উৎসব। এর সাথে আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পহেলা বৈশাখ সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় বাঙালির মাঝে উদার মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নতুনভাবে জাগ্রত হয়, মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।


আয়োজকরা জানায়, বরাবরের মতো পেইন্টিং, সরা, মুখোশ পাখি তো আছেই। সেইসাথে এবারের নতুন সংযোজন কাগজের ফুল, তালপাতার পাখা, রোদচশমার মতো রোজকার অনুষঙ্গ। এবারে ছয়টি কাঠামো নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হতে চলেছে অন্যান্য বারের তুলনায় উৎসবমুখর ও জমজমাট।
৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিপর্বের উদ্বোধন করা হয়। এরপর যতই দিন গড়িয়েছে ততই প্রস্তুতির কাজ জোরালো হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে চারুকলা অনুষদের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ১৩ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার চৈত্র সংক্রান্তির রাতেই সব প্রস্তুতি শেষ করে ১৪ এপ্রিলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত চারুকলা।


পহেলা বৈশাখের অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা উল্লেখ করে ভাস্কর ও কবি রিঙকু অনিমিখ বিবার্তাকে বলেন, বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আমরা যেগুলো লালন করি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। কারণ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে মিলিত হয়। এটা বাঙালির মিলন মেলা, প্রাণের মেলা। তাই এই উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎসব হিসেবে স্বীকৃত।


সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বিবার্তাকে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে। বাঙালি সংস্কৃতির সম্প্রীতির বার্তা এর মাধ্যমে দেওয়া হয়। তবে বাঙালির এই প্রাণের উৎসবকেও অনেকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। আর এরাই, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলে, এরাই তো বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধী। সুতরাং এদের মূল জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, এরা তো অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রই চায় না। তাদেরকে রাজনৈতিক, আদর্শিক ও মতাদর্শগতভাবে পরাভূত করতে হবে। উন্নত, আধুনিক চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে। এক্ষেত্রে সংস্কৃতিকর্মীদের জাগ্রত থাকতে হবে, একইসাথে সমাজের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। আর সরকারকেও তার অবস্থান স্পষ্ট ও শক্ত করতে হবে।


মঙ্গল শোভাযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বিবার্তাকে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব, আর এই উৎসবের প্রাণভোমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই উৎসব হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান, আদিবাসী, ধনী-গরিব, সকল বাঙালির। এই রকম একটা উৎসব এই দেশে থাকাটা সত্যিই গর্বের বিষয়। যে লোকটা অসহায়, যার এই দিনেও ভালো রান্না করার সামর্থ্য নেই, সেও এই উৎসবে রাস্তায় শোভাযাত্রা দেখতে আসে। গভীর আগ্রহ নিয়ে রঙিন জামা পরিহিত বাচ্চাদের বাঁশি বাজাতে দেখে। আর এগুলো তার মনেও আনন্দের দোলা দেয়, যেটা হয়তো তার কষ্টকেও ভুলিয়ে দেয়। পহেলা বৈশাখের উৎসবে এককথায় সবাই যুক্ত হয়। এরকম একটা উৎসব আমাদের জাতির জন্য খুব দরকার ছিল। ঝড়-বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে বছরের পর বছর এই উৎসব হয়ে আসছে। এটা এখন আর দেশে সীমাবদ্ধ নেই, বিশ্বের বহুদেশ এই রেওয়াজ শুরু করেছে। কাজেই এটা আমাদের জন্য বিরাট অর্জন।'


তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের অসাম্প্রদায়িক হতে শিক্ষা দেয়। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মাণে এ আয়োজন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সেই সাথে আগামী প্রজন্মের জন্য একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের কাজ করতে হবে।


কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বিবার্তাকে বলেন, বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে শুধু একটিমাত্র দিন কিংবা উৎসবও নয়। বরং এই দিনকে কেন্দ্র করে বহুমাত্রিক অর্থ উচ্চারিত হয়েছে। জীবনের গভীর অর্থ খোঁজার যে মৌল দর্শন একটি জাতির চিন্তা-চেতনায় বিরাজ করে, সেই অর্থের সবটুকু ধারণ করে আছে বাংলা নববর্ষদিন। এই উৎসব বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল অনুপ্রেরণা। অসাম্প্রদায়িক বাঙালির আকর আধার। মনুষ্যত্ব বিকাশের শুভ শক্তি। আত্মপরিচয় বৃদ্ধির মূল ক্ষেত্র। বিশ্বজোড়া মেলবন্ধনে মানবিকতার মৌলিক শর্ত।


বিবার্তা/রাসেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com