জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের শূন্য আসনে উপনির্বাচনের সময় ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হচ্ছে।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনি আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনের প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'সংবিধানে নারী আসন ৪৫টি থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে। নির্বাচনি আইনে এখনো ৪৫টি আছে। তাই আইনের ৪৫ থেকে ৫০টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।এছাড়া বিদ্যমান আইনে সময় নির্বাচনের সময় ছিল ৪৫ দিন। সাধারণ আসনে নির্বাচনের সময় ৯০দিন। সেটার অনুরুপ করা হয়েছে।
অন্যদিকে নারী আসনে প্রার্থীদের ১০ হাজার টাকা জামানত ছিল। সাধারণ আসনের মতো ২০ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন আইন সংস্কার কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন সভায় বিষয়গুলো অনুমোদন হয়েছে। এখন এটা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা কেবিনেটে পাঠাবেন। তারপর সংসদে যাবে। এরপর পাশ হবে। আইনটি পাশ না হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে।'
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় অনুচ্ছেদ ও ধারার সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনি আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনের প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন আইন সংস্কার কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন সভায় বিষয়গুলো অনুমোদন হয়েছে। এখন এটা আইন মন্ত্রণালয়ে এখন পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা কেবিনেটে পাঠাবেন। তারপর সংসদে যাবে। এরপর পাশ হবে। আইনটি পাশ না হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে।'
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিজয়ী হয়ে সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ করা প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে।
সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী অনুযায়ী, ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে নির্ধারণ করা হয় যে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে (সেসময় ৪৫টি) একটি দল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক নারী সাংসদকে সুযোগ দেওয়া হবে; এবং তা হবে সংসদে ঐ দলের কতজন প্রতিনিধি রয়েছে তার অনুপাতে।
অর্থাৎ একটি রাজনৈতিক দলের ৬ জন যদি নির্বাচিত সাংসদ হন, তাহলে ঐ দল থেকে একজন প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ হবেন।
তখন ঐ সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ঐ বিশেষ রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন এবং সেই দলের নির্বাচিত সাংসদদের ভোটে বিজয়ী হয়ে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ হতে পারবেন ঐ প্রার্থী।
বিবার্তা/সানজিদা/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]