পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রমাপদ চৌধুরী (৯৬) মারা গেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি স্ত্রী ও দু' মেয়ে রেখে গেছেন।
রমাপদ চৌধুরী গত ২০ জুলাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ওইদিনই হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যায় তাঁর।
সোমবার দুপুরে কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
রমাপদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর, খড়্গপুরে। ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। শিক্ষা শেষে যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। অ্যাসোসিয়েট এডিটর হিসেবে এই পত্রিকার ‘রবিবাসরীয়’ সম্পাদনা করেছেন দীর্ঘদিন।
রমাপদ চৌধুরীর প্রথম উপন্যাস ‘প্রথম প্রহর’। তাঁর স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত উপন্যাস ‘বনপলাশীর পদাবলী’ ১৯৬০ সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়। পরে সেই কাহিনিকে রুপালি পর্দায় রূপ দেন মহানায়ক উত্তমকুমার। তাঁর লেখা ‘অভিমন্যু’ নিয়ে তপন সিংহ তৈরি করেন স্মরণীয় ছবি ‘এক ডক্টর কি মওত’। ‘খারিজ’ নিয়ে ছবি করেছেন মৃণাল সেন। ‘এক দিন অচানক’ ছবিটিও রমাপদ চৌধুরীর ‘বীজ’ উপন্যাসের ভিত্তিতে।
রমাপদ চৌধুরীর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আছে ‘এই পৃথিবী পান্থনিবাস’, ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’, ‘দ্বীপের নাম টিয়া রং’, ‘এখনই’, ‘বাড়ি বদলে যায়’, ‘হারানো খাতা’ এবং ‘লালবাঈ’।
বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, মানিক - তিন ''বন্দ্যোপাধ্যায়ের'' পরে যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা কথাসাহিত্যের সমৃদ্ধ ধারা বহমান রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, রমাপদ চৌধুরী তাঁদের প্রতিনিধিস্থানীয়।
শুধু উপন্যাস নয়, ছোটগল্পেরও অবিস্মরণীয় এই শিল্পী পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। ইংরেজি ও হিন্দিতে অনূদিত হয়েছে তাঁর বহু রচনা।
বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]