বুলবুল চৌধুরী। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা গ্রহণ করেন জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে। লেখালেখি ছাড়াও তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। দৈনিক সমকালসহ বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেছেন।

বুলবুল চৌধুরী প্রথম লেখা বের হয় ১৯৬৭ সালে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘টুকা কাহিনী’। এই গল্পই মূলত লেখককে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দেয়। গ্রামীণ জীবনের পটভূমি আর নিজস্ব ভাষাশৈলীর জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যে নিজস্ব ভূবন তৈরি করতে পেরেছেন।

বুলবুল চৌধুরী উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের তালিকায় আছে- অপরূপ বিল ঝিল নদী, কহকামিনী, তিয়াসের লেখন, অচিনে আঁচড়ি, মরম বাখানি, এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে, ইতু বৌদির ঘর ও দখিনা বাও।

ছোটগল্প- টুকা কাহিনী, পরমানুষ, মাছের রাত, চৈতার বউ গো।

তাঁর আত্মজৈবনিক দু’টি গ্রন্থ- জীবনের আঁকিবুঁকি ও অতলের কথকতা।’

শিশু-কিশোরদের জন্য লিখেছেন- গাঁওগেরামের গল্পগাথা, নেজাম ডাকাতের পালা, ভালো ভূত, প্রাচীন গীতিকার গল্প এবং স্বনির্বাচিত কিশোর গল্প।

২৮ আগস্ট, ২০২১ সালে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে নিজ বাসায় বুলবুল চৌধুরীর মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

সাহিত্যকর্মে স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জসীম উদদীন স্মৃতি পুরস্কার, ‘কহকামিনী’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার। সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০১১, ‘এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে’ উপন্যাসের জন্য ২০১৩ সালে পেয়েছেন ‘ব্র্যাক ব্যাংক ও সমকাল সাহিত্য পুরস্কার।’ ভাষা ও সাহিত্যে ২০২১ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

বিবার্তা/সউদ