শিরোনাম
এলবা দ্বীপের অক্টোপাস রান্না
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:২১
এলবা দ্বীপের অক্টোপাস রান্না
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইটালির একটি দ্বীপ পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে দ্বীপের নানা রকম তাজা মাছের রান্নার আকর্ষণই আলাদা। একটি রেস্তোরাঁ সেই ঐতিহ্য বিশেষভাবে ধরে রেখেছে।


দ্বীপটি ইটালির মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দ্বীপের একটি টিলার উপর ছোট্ট শহর কাপোলিভেরি।


এখানে অনেক রেস্তোরাঁয় শুধু মাছ খাওয়া যায়। এর মধ্যে লুচানো কাসিনির ‘ইল কিয়াসো' বেশ বিখ্যাত। প্রায় ৪০ বছর ধরে সেখানে মাছ ও সামুদ্রিক জীব পরিবেশন করা হচ্ছে। কাঠকয়লায় সেঁকা, ভাজা অথবা সিদ্ধ করা পদগুলোর সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাস্তা খেতে দেয়া হয়। লুচানো এক রেস্তোরাঁ-মালিক বলেন, ‘‘১৯৭২ সালে আমি এটি চালু করি। সে সময়ে এটা ছিল কাপোলিভেরির চতুর্থ রেস্তোরাঁ। তখন আরো দুটি প্রাচীন রেস্তোরাঁ ছিল। এখন অনেক রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে।''


কাসিনির মতে, এখানকার সেরা মাছের দোকানটি পোর্টো আসুরো বন্দর এলাকায় অবস্থিত। রেস্তোরাঁ থেকে গাড়ি করে সেখানে যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে। জেলেরা সবে যে তাজা মাছ ধরেছে, তিনি সেগুলো কিনতে পছন্দ করেন। লুচানো কাসিনি বলেন, ‘‘যেমন আজ রাতে এই মোরে ইল মাছ ধরা হয়েছে। পাতলা করে কেটে ভাজলে দারুণ স্বাদ পাওয়া যায়। এই ছোট মাছগুলো স্টু বানানোর জন্য আদর্শ। আছে গলদা চিংড়িও। এই কাঁকড়া দিয়ে খুব ভালো পাস্তা তৈরি করা যায়। অক্টোপাসেরও দারুণ স্বাদ।''


অক্টোপাসের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। ‘ইল কিয়াসো' রেস্তোরাঁর খাদ্যতালিকায় এটা প্রায়ই থাকে। এলবা দ্বীপের ঐতিহ্য অনুযায়ী স্টু রান্না করার আগে অক্টোপাস ভালো করে পরিষ্কার করে ধুতে হবে৷ তারপর লবণাক্ত পানিতে সিদ্ধ করা হবে। এর মধ্যে পিঁয়াজকলি কেটে অলিভ অয়েলে হালকা করে ভাজতে হবে। দুটি বড় আলুও কেটে রাখতে হবে। আড়াই কেজি ওজনের অক্টোপাস সিদ্ধ হতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে। কামড় দেবার সময় সামান্য শক্ত থাকলে ভালো। কখন চুলা বন্ধ করতে হবে, তা অনুভব করতে হয়।


অক্টোপাসের শুঁড়গুলো আলাদা করে মিক্সারে ছোট করতে হয়। তারপর পিঁয়াজকলির সঙ্গে তা যোগ করা হয়। রোসমেরির গোছা ছোট করে কেটে পাত্রে দিতে হয়। তারপর এক লিটার স্বচ্ছ পানি অথবা মাছ সিদ্ধ করার পর অবশিষ্ট পানি ঢালতে হয়। শেষে আলু দিয়ে ঢিমে আঁচে ঘণ্টাখানেক রান্না করতে হয়। কাসিনি বলেন, ‘‘আমার মা-ও এই স্টু রান্না করেছেন। কারণ, এলবা দ্বীপে চিরকালই অনেক অক্টোপাস পাওয়া যেতো। আগে আমরা সপ্তাহে প্রায় তিন বার অক্টোপাস খেতাম। তাই এটা আমাদের জন্য কোনো অভিনব খাদ্য নয়।''


এলবা দ্বীপের ঐতিহ্যগত খাবার আসলে অত্যন্ত সহজ-সরল, কিছুটা গ্রামীণও বটে। তবে এত তাজা উপকরণ ও অসাধারণ নিসর্গের কারণে সেই অভিজ্ঞতা বেশ অনবদ্য হয়। সূত্র : ডিডাব্লিউ


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com