আদার অনেক গুণের কথা আমরা জানি। কিন্তু কথায় বলে, সব কিছুরই একটা খারাপ দিক রয়েছে। তেমনি বেশি পরিমাণে খেলে বা ‘অসময়ে' খেলে আদাই আবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। অসময় বলতে, শরীরের বিশেষ বিশেষ অবস্থার সময়ে আদা না খাওয়াই উচিত।
১. যখন কোনো বিশেষ ধরনের ওষুধ খেতে হয় : যাঁরা ডায়াবেটিস বা ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খান, তাঁদের জন্য আদা বেশ ক্ষতিকারক। কারণ, এই দুই অসুখের জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তার সঙ্গে আদার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। যদিও, রক্তের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা, যার ফলে রক্তের চাপও কম থাকে।
২. ওজনের সমস্যা : এমনিতেই যদি শরীরের ওজন কম হয়, সে ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার খুবই কম করা উচিত। কারণ, আদায় ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা শরীরের পিএইচ লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হজমের প্রক্রিয়া খুবই ভালো হয়। ওজন বাড়াতে চাইলে আদা বাধ সাধে।
৩. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় : আদায় বেশ কয়েক ধরনের স্টিম্যুলেট রয়েছে, যা শরীরের পেশী মজবুত করে। তাই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের আদা না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে প্রসবের আগের তিন মাস।
৪. রক্তের সমস্যা : শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আদা। ফলে, যাঁদের ওজন বেশি ও ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য আদা উপকারী। কিন্তু, যাঁদের হিমোফিলিয়া রয়েছে, তাঁদের জন্য আদা প্রায় বিষের সমান।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]