আকাশের নীল খামে তোমার নামে কিছু বৃষ্টি পাঠিয়ে দিলাম তুমি মন ভিজিয়ে নিও পরে যদি বর্ষা শেষে রোদ হয়ে আসে আমার দরজায় একটু উঁকি দিও...সংগীতে যেমন তাল, লয়, সুর আছে, কবিতায় যেমন ছন্দ, মাত্রা আছে ভালোবাসায়ও তেমনি নিজস্ব ছন্দ আছে। ভালোবাসা বিশ্বজনীন, ভালোবাসা সর্বজনীন। ভালোবাসা হচ্ছে এই রোদ এই বৃষ্টি। রাগ-ক্ষোভ-মান-অভিমানের মধ্যেই একদিন সত্যিকারের ভালোবাসা এসে ধরা দেয়। ভালোবাসা আর মন একে অপরের পরিপূরক।
‘ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে, ভালোবেসে ভালোবাসায় বেধে যে রাখে’। জীবনসঙ্গীকে বেধে রাখুন ভালোবাসায়, বিশ্বাসে, শ্রদ্ধাবোধে। কিন্তু আধুনিক যুগে দীর্ঘমেয়াদি বিবাহিত জীবন যেন কল্পনা হয়ে গেছে। প্রতিটি সর্ম্পকেই দুঃসময় আসে। তখন দাম্পত্য সম্পর্ক টেকানোর বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়। এমন সময় দুজনেরই অনেক বেশি অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয়।
জীবনসঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখুন। তাকে শান্তি করে গভীর শ্বাস নেওয়ার সুযগো দিন। নিরেট সম্পর্ক গড়তে তাকে পুরো সমর্থন দিন। আধুনিক যুগে ‘দীর্ঘমেয়াদি বিবাহিত জীবন’ যেন কল্পনা হয়ে গেছে। প্রথম ধাক্কাতেই সব বিধ্বস্ত হয়ে যায়। তবে অধিকাংশরাই দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ দিতে প্রস্তুত থাকেন।
কিন্তু বিষয়টি তখনই কাজ করে যখন যোগাযোগের সব পথ খোলা থাকে। দুজনের মধ্যকার যোগাযোগটা যদি প্রথম থেকেই না গড়ে ওঠে, তবে তা ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। প্রতিদিনের যাবতীয় কাজের মাঝে দুজন আলাদা বসে মাত্র ১৫ মিনিট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলাপ করুন। এতে চিত্রটাই বদলে যাবে।
চলুন জেনে নিই বিবাহিত জীবনকে দীর্ঘায়িত করার মন্ত্রের কথা।
মর্যাদা ও শ্রদ্ধাবোধ
পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জ্ঞাপন করতে হবে। এতে বন্ধনটা সুদৃঢ় হয়। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সীমা হিনগোরানি তেমনটাই মনে করে। দুজন দুজনের হয়ে গেছেন। তার মানে এই নয়, একে অপরের নিয়ন্ত্রক। বসের মতো তাকে অধীনস্ত কর্মীর মতো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। প্রত্যকের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
আপোস করা দারুণ বিষয়
অনেকেই মনে করেন, আপোসে গেলে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। এটা বড় ধরনের ভুল ধারণা। জীবনের বিভিন্ন সময় নিজেদেরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে উভয়পক্ষকে মধ্যমপন্থ অবলম্বন করতে হবে। সমস্যা থাকলে আপোস একমাত্র সমাধান হয়ে ওঠে। অযথা বিতর্ক টেনে নিয়ে যাবেন না। ছাড় না দেওয়ার মানসিকতাও ত্যাগ করুন।
আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা
দুজন মিলে উপার্জন করলে দুজনেরই আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা রাখা প্রয়োজন। স্বামীর উপার্জন নিয়ে স্ত্রীর জানা উচিত। তেমনি দরকার স্ত্রীরটাও স্বামীর জানা। দুজনের সংসার যেহেতু, কাজেই স্বচ্ছতা অতি জরুরি বিষয়। বিশেষ করে নতুন বড় ধরনের খরচ বা বিনিয়োগের বিষয় আসলে এই স্বচ্ছতা ভালো কিছু হতে সহায়তা করবে।
বন্ধন সৃষ্টি
এটা আসল বলার চেয়ে করা অনেক কঠিন। বিশেষ করে স্ত্রীর পরিবারের লোকজন বা স্বামীর পরিবারের মানুষের সঙ্গে যদি সুসম্পর্ক স্থাপন করা যায়, তবে দুজনের সম্পর্কও অনেক ভালো হবে। এদের নিয়ে মাঝে মাঝে ডিনারে যান। বাড়ির অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হোন। এতে করে দুজনের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।
রোমান্স ধরে রাখুন
বিয়ে বেশ কিছু দিন পর নাকি রোমান্স মরে যায়। আসলে আর আগের মতো থাকে না। কিন্তু একে টিকিয়ে রাখতে হবে। কিছু অন্তরঙ্গ সময় কাটান। একজন আরেকজনের প্রতি মনোযোগ দিন। দুজন মিলে কিছু চমৎকার সময় অতিবাহিত করুন। এমন সময় কাটান যেনো একজন অপরজনের কাছে স্পেশাল হয়ে ওঠেন।
বিবাহিত জীবন এমনন একটা জীবন যেখানে ভালোবাসা, সম্মান, বিশ্বাস ইত্যাদি টিকিয়ে রাখতে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই কাজ করতে হয়। দুজনকেই সেক্রিফাইসিং মনোভাব রাখতে হয়। অনেক কারণেই দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হতে পারে, স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং কমে যেতে পারে বা তৈরিই নাও হতে পারে। তা দীর্ঘদিনের সম্পর্কে যেমন হতে পারে,নতুন বিবাহিত দম্পতির মধ্যেও হতে পারে।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]