শিরোনাম
চকলেট উপহার দেয়ার দিন আজ
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:০৫
চকলেট উপহার দেয়ার দিন আজ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শুরু হয়ে গেছে ভ্যালেন্টাইন’স সপ্তাহ। মানে হলো প্রেমের সপ্তাহ। ভ্যালেন্টাইনস ডে, মানে ১৪ ফেব্রুয়ারির সাতদিন আগে থেকেই শুরু হয় ভালবাসার সপ্তাহ। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি ইন্টারনেশনাল চকলেট ডে। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় চকলেট আদান-প্রদান করে। ৮ থেকে ৮০ সব বয়সীদের পছন্দ চকলেট। আর তাই কাউকে উপহার দিতে এই খাদ্যের জুড়ি নেই।


ভালবাসা প্রকাশের জন্য প্রিয় মানুষটির জন্য তার পছন্দের এক বাক্স চকলেটই যথেষ্ট। প্রেমিক-প্রেমিকা হোক বা যে কোনও প্রিয়জনই হোক, চকলেট উপহার দেওয়ার দিন আজই।


এবার জেনে নেয়া যাক চকলেটের আদি কথা। ৫০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে মনে করা হতো চকলেট হলো ঈশ্বরের খাবার। চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া। কোকোয়া শব্দটি এসেছে ‘কাকাওয়া’ থেকে। ‘কাকাওয়া’ শব্দের অর্থ ঈশ্বরের খাবার। এর স্বাদ প্রথম পেয়েছিল লাতিন আমেরিকার মায়া সভ্যতা। ‘চকোলেট’ নামটিও এসেছে তাদের ভাষার ‘স্কোকোলেট’ থেকে। যার অর্থ অম্ল পানীয়। কোকো গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত এই চকোলেট গোড়ার দিকে মূলত পানীয় হিসাবেই ব্যবহার করা হত। সে আমলে আবার অনেকে তা রান্নার মশলা হিসাবেও ব্যবহার করতেন। তখন কেবল মায়া রাজ পরিবারের সদস্য, প্রশাসক, ধর্মগুরু, সৈনিক এবং সম্মানীয় বণিক সম্প্রদায়ই একমাত্র এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারত।


পরবর্তীকালে মায়াদের কাছ থেকে চকোলেটের ব্যবহার শিখে নেয় আজটেকরা। তাদের আরাধ্য দেবতা কোয়েটজালকটলই নাকি এই কোকো গাছ পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। আর এই গাছের ফল খেলে সাম্রাজ্য এবং ক্ষমতা দুই-ই জয় করা যায়। এমনই বিশ্বাস ছিল আজটেকদের। সেই কারণে ওই দেশে কোকো গাছ দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয়।


এমনকি দেবতাকে চকোলেট উৎসর্গ করারও নজির রয়েছে। আবার চকোলেটকে আজটেকরা যে মুদ্রা হিসাবেও ব্যবহার করতেন তারও প্রমাণ মেলে। চকোলেটকে তারা এতটাই সমৃদ্ধশালী বলে মনে কর, যে একমাত্র সোনার পাত্রেই তা পরিবেশন করতে হত। শুধু তাই নয়, একবার ব্যবহারের পরই পাত্রটি ফেলে দেওয়ারও রেওয়াজ ছিল। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, আজটেকরাজ মনটেজুমা দিনে এরকম ৫০ পাত্র ঘন চকোলেট পান করতেন।


আধুনিক চকোলেটের প্রথম কারখানা গড়ে ওঠে স্পেনে। গবেষণায় চকলেটের কোকোয়ার নানা গুণের কথা জানা গেছে। কোকোয়াতে ফ্ল্যাভানল নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। চকলেটে যত বেশি কোকোয়া থাকবে, শরীরের জন্য তা ততটাই ভাল। একারণে ডার্ক চকলেটকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলা হয়ে থাকে।


মন খারাপ থাকলে চকলেট খেলে মন ভাল হয়ে যায়। আর তার কারণ হলো, চকলেটে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা শরীরকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যানানডামাইড নামের নিউরোট্রান্সমিটার মন ভালো করতে সাহায্য করে।


জানা যায়, জর্জ ক্যাডবেরি(জুনিয়র) স্পেন থেকে ক্যাডবেরি বারের রেসিপিটি শিখে এসে প্রথম এটি বানান ১৯০৫ সালে। তবে ক্যাডবেরি কোম্পানির প্রথম সদস্য হিসাবে ধরা হয় জন ক্যাডবেরিকেই। এর আগে বার্মিংহামের বুলস্ট্রীটে তিনি একটি চায়ের দোকান চালাতেন। বর্তমানে অবশ্য পশ্চিম এশিয়ার দেশ যেমন ঘানা, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, সিয়েরা লিওন ইত্যাদি দেশ থেকে উন্নতমানের কোকো বীজ আমদানি করে ক্যাডবেরি প্রস্তুত করা হয়।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com