ফিশ ফ্রাই হোক কিংবা বিরিয়ানি, ভোজনরসিক বাঙালির পাতে সালাদ না হলে তাদের খাওয়াটা ঠিক জমে না। ইদানীং অনেকেই আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক বাটি সালাদেই ভরসা রাখছেন।
সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল দুপুরবেলা। প্রাতরাশ আর মধ্যাহ্নভোজন মধ্যবর্তী সময়টিই সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত। ওই সময়ে সালাদ খেলে পেট ভরা থাকে। ফলে খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না।ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
মধ্যাহ্নভোজের আধ ঘণ্টা আগে সালাদ খাওয়াই ভাল। কিন্তু ঠিকমতো সালাদ বানাতে না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে!
অনেকেই এক বাটি সালাদ খেয়ে ফেলে ভাবেন, স্বাস্থ্যের উপকার হচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রে যেন পুষ্টির অভাব না হয়, সে দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। সালাদ খেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে চললে তবেই উপকার পাবেন আপনি।
১) সালাদ বানানোর সময়ে অনেকেই মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার না করাই ভাল। ফল, সব্জি কিংবা মাছ-মাংস-ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার শরীরে অনেকটা ক্যালোরি ঢুকবে।
তবে সে ক্ষেত্রে স্বাদ বাড়ানোর জন্য টক দই বা ‘গ্রিক ইয়োগার্ট’ ব্যবহার করতে পারেন।
২) এ ছাড়া, স্যালাডে সাদা নুন, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে, তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। সাদা নুনের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করতে পারেন। সালাদের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত নুন, চিনি যুক্ত সেই সব ড্রেসিং ঠিক কী পরিমাণে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৩) অনেকেই সব্জির সালাদ বানানোর সময়ে সেদ্ধ করে নেন, কিংবা তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে সালাদের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
৪) সালাদের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। সালাদের পাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ না করাই ভাল। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য স্যালাডে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।
৫) সালাদের ড্রেসিংয়ে অলিভ ওয়েল পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন। সালাদ সুস্বাদু না হলে অনেকেই খেতে চান না। তাই স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন রকম হার্বস দিতে পারেন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]