এসেই গেলো শীত। শীতের সাথে লড়াই করতে কিনতে হবে গরম কাপড়। কিন্ত নতুন কাপড় কিনে এনেই না ধুয়ে পড়া শুরু করবেন না যেন! অভিজ্ঞদের মতে, নতুন কাপড় কখনোই না ধুয়ে পরা উচিত নয়। যেহেতু আমাদের অজান্তেই কাপড়ের লেগে থাকতে পারে অনেক কিছু ।
ওহিওর বিজ্ঞানী কিম রোমাইন বলেছেন, “মানব শরীর সারাদিন প্রাকৃতিক ভাবেই কিছু উপাদান নিঃসরণ করতে থাকে। সাধারণ মাত্রায় শরীর থেকে দৈনিক প্রায় ১ লিটার ঘাম, ৪০ গ্রাম মেদ নিঃসরিত তেল, ১০ গ্রাম মৃত ত্বক এবং ১০ গ্রাম লবণ বের হয়। শরীরে অবস্থিত এই ময়লাগুলো সংস্পর্শের মাধ্যমে কাপড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া কাপড় তৈরি করার সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থও কাপড়ে লেগে থাকে। কাতাই ধুয়ে ব্যবহার না করলে উপাদানগুলো শরীরে লেগে ত্বকে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রের বিষমুক্ত পরিষ্কারক উপাদানের বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদী মার্লি নেলসন বলেন, “নতুন কিনে আনা কাপড় চকচকে ও পড়ার যোগ্য মনে হতে পারে। কিন্তু এগুলো সিনথেটিক উপাদানের সাহায্যে তৈরি হয়। এতে ক্ষতিকর ভিওসি (ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড), ফর্মালডিহাইড, রঙ রক্ষায় ব্যবহৃত কীটনাশক জাতীয় উপাদান থাকে। ত্বকের জন্য এগুলো ক্ষতিকর। ”
কাপড় ধুয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হলো- ক্ষুদ্রজীবাণু্। পোষাকের জন্য কাপড় তৈরি থেকে শুরু করে কাপড় রঙ করা, তৈরি করা, সরবরাহ করা, কিনে আনা- দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এর মধ্যে নানারকম ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার কিঞ্চিৎ উপস্থিতি দেখা যেতে পারে।
আপনার কেনা নতুন কাপড়ে যদি কোনো কড়া সুগন্ধ থাকে তবে সর্তক হউন্। শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ বা সুগন্ধি অনেক সময় চোখ, ত্বক ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেক্ষেত্রে কাপড় ধুয়ে নেও্রযা সবচেয়ে ভালো। আর না হলেও, মুক্ত বাতাস ও রোদে তা মেলে রাখুন।
পরিশেষে, শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও অস্বস্তিকর উপাদানের কাপড় বর্জন করুন।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]