রোজায় নিজেকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১০:১৮
রোজায় নিজেকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাসে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে। বছরের ১১মাস মানুষের যে খাদ্যাভ্যাস থাকে এই মাসে এসে তার বড় পরিবর্তন ঘটে। 


ফলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা ও সন্ধ্যার পর একসাথে বেশি খাওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে কিছু অস্বস্তি কাজ করে। এ ছাড়া মানুষের ঘুমানোর সময়েও পরিবর্তন ঘটে।


তাই শরীর নিয়মিত প্যাটার্নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার আগে রোজার শুরুর কয়েক দিন কেউ কেউ অসুবিধা অনুভব করতে পারে। খাদ্যাভ্যাস ও ঘুমের ধরণে সব পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মে রমজান মাসে ফিট থাকা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।


তো, চলুন দেখে নেয়া যাক পবিত্র এই মাসে সুস্থ থাকার কিছু টিপস।


অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:  রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয় ফলে ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়ার একটা ইচ্ছে তৈরি হয়। এ সময় ইফতারিতে মুখরোচকর ও তৈলাক্ত খাবারের প্রাধান্য থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।


এ মাসে অফিস কিংবা বাসায় ইফতারের দাওয়াত থাকে। তাই আপনাকে খাবারের ব্যাপারে অধিক সচেতন থাকতে হবে। ইফতারে বেশি খাওয়ার ফলে ক্লান্তি, পেটে ব্যথা এবং হজমের সমস্যা হতে পারে। রমজান জুড়ে আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন পর্যাপ্ত পরিমাণ দুগ্ধ ও প্রোটিন।


হাইড্রেটেড থাকা: সেহরি ও ইফতারের সময় যতটা সম্ভব তরল পান করুন। তাজা ফলের জুস, প্রোটিন শেক এবং এ ধরনের পানীয় শরীরকে চাঙ্গা করে তুলবে। তবে কফি, চা বা অধিক চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ এইগুলো তৃষ্ণা বাড়াতে পারে এবং ডিহাইড্রেশন হতে পারে।


পর্যাপ্ত ঘুম:  এ সময় ঘুমের সময়ে একটা পরিবর্তন ঘটে। তারাবির নামাজ ও শেষ রাতে সেহরি করার ফলে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। নিজেকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। তাই ঘুমের সময়ে সমন্বয় করে নিতে হবে। এ ছাড়া ক্লান্তি দূর করতে কাজের ফাঁকে চেয়ারে ২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নেয়া যেতে পারে যা আপনাকে চাঙ্গা রাখবে।


নিয়মিত সেহরি খাওয়া: ঘুমের কারণে অনেকেই মাঝেমধ্যে সেহরি না খেয়ে রোজা রাখেন। এ অভ্যাস তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। রমজান মাসে শেষ রাতের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সারা দিন রোজা রাখার শক্তি পাওয়ার জন্য সেহেরিতে সুষম খাবার খাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।


ব্যায়াম:  আপনার শরীরকে কাজে ব্যস্ত রাখুন। প্রতিদিনের ঘরের কাজ করুন বা অফিসে যান, হাঁটা বা হালকা ব্যায়ামের মতো কাজগুলো শরীর সুস্থ রাখে।


মিষ্টি কম খাওয়া: ইফতারের পরে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সময় চর্বি জাতীয় খাবারও সীমিত করা উচিৎ।


ভাজাপোড়া খাবার কম খাওয়া: ভাজাপোড়া খাবারে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। রমজানজুড়ে শরীর সুস্থ রাখতে ভাজাপোড়া খাবার ছাড়া অন্যান্য পদ্ধতিতে তৈরি করা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com