বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে ‘ডেভেলপমেন্ট অব মিডিয়েশন অ্যান্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যাকটিস ফর এনহ্যান্সমেন্ট অব অ্যাকসেস টু জাস্টিস’- শীর্ষক একটি চুক্তি (রেকর্ড অব ডিসকাশন) সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

২৬ নভেম্বর, রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাইকা। প্রকল্পটির কার্যক্রম ২০২৪ সালে শুরু হবে।

প্রকল্পের আওতায় আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম এবং অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে আদালত, লিগ্যাল এইড অফিস (আইনি সহায়তা কেন্দ্র) এবং বিচার ব্যবস্থার সাথে যুক্ত সংস্থাগুলো থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে জাইকা।

প্রকল্পটি প্রথমে ঢাকা, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে পরে এটি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও সম্প্রসারণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে।

জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আইন ও বিচার বিভাগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে আমরা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশাবাদী’।

প্রকল্পের অধীনে সবার জন্য মধ্যস্থতা সংক্রান্ত আইনি সেবা আরও সহজতর এবং সাধারণ নাগরিকের মাঝে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া জনপ্রিয় করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দেশের আইনি ও বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম এবং ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব ও উইং চিফ (আমেরিকা ও জাপান) একেএম শাহাবুদ্দিন।

দেশে মামলার জট সমস্যার সন্ধান খুঁজে ও তার সমাধানে কাজ করবে জাইকা। যার ফলে দেওয়ানী মামলার বিচার প্রক্রিয়ার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে প্রায় পঁয়ত্রিশ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের যেমন এই সুবিধা পাবে অন্যদিকে সরকারেরও মামলার জটিলতা কমবে।

বিবার্তা/মাসুদ/সউদ