
২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর ভোরে তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান। আট বছর আগে তার খোঁজ চেয়ে থানায় জিডি করে তার পরিবার। সেই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত।
নিখোঁজ আব্দুল হান্নানের স্ত্রী আফরোজা সুলতানার করা হেবিয়াস কর্পাস রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবীরের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আফরোজা সুলতানার আইনজীবী ব্যারিস্টার শামীম আহমেদ মেহেদী জানান বলেন, আব্দুল হান্নান নিখোঁজ হওয়ার পর আফরোজা সুলতানা শেরেবাংলা নগর থানায় যে জিডিটি করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ও শেরেবাংলা নগর থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলে করতে বলেছেন আদালত।
আরো পড়ুন >>> ৮ বছরেও খোঁজ মেলেনি আওয়ামী লীগ নেতা হান্নানের, প্রতীক্ষায় পরিবার
জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার সময় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে শিক্ষকতা করতেন হান্নান। ১৯৯৬ সালে তিনি কলেজে বাংলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে কলেজের উপাধ্যক্ষের পদ সংখ্যা বাড়িয়ে তিনজন করা হয়। ওইসময় সৃষ্ট উপাধ্যক্ষ-২ পদে যোগ দেন হান্নান। তখন উপাধ্যক্ষ পদ সংখ্যা বৃদ্ধি ও নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা হয়। পরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে উপাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর সেই বছরের ৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন তিনি।
জানা যায়, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। পরে রাজধানীতে এসেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক হান্নান পরে সহ-সভাপতি হয়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক পদ পান।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]