শিরোনাম
লাদেনের ছেলে হামজা নিহত!
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৯, ১০:৫৩
লাদেনের ছেলে হামজা নিহত!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা প্রধান উসামা বিন লাদেনের ছেলে ও তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে বলে দেশটির বিভিন্ন গণামধ্যমের খবরে জানা গেছে।


তিন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর খবর দিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রচার করে এনবিসি নিউজ। তবে কোথায় কখন তিনি নিহত হয়েছেন, কিংবা তার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা আছে কিনা, কর্মকর্তারা তা নিশ্চিত করেনি।


যুক্তরাষ্ট্র তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে কিনা তাও পরিষ্কার নয়। হামজার নিহত হওয়া নিয়ে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।


গত বছরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির মিডিয়ায় প্রকাশ করা সর্বশেষ বিবৃতিতে আরব উপদ্বীপের লোকজনকে বিদ্রোহের আহ্বান জানান হামজা। এতে সৌদি আরবকে হুমকি দেয়া হয়।


মার্চে সৌদি আরব তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। তখন যে কোনো দেশে হামজার অবস্থান কিংবা শনাক্ত করা সম্ভব- এমন তথ্য দিতে পারলে ১০ লাখ ডলারের পুরস্কারের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।


১১ সেপ্টেস্বর হামলার আগে ৩০ বছর বয়সী হামজা আফগানিস্তানে তার বাবার পাশে ছিলেন। আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের পরে পাকিস্তানেও তারা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।


১৯৮৯ সালে সম্ভত হামজা বিন লাদেনের জন্ম। ১৯৯৬ সালে তার বাবা আফগানিস্তানে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। আল-কায়েদার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে বাবার পাশে হামজাকেও দেখা গেছে।


২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের এক অভিযানে উসামা বিন লাদেন নিহত হন। যে কম্পাউন্ডে উসামা নিহত হন, সেখানে হামজাকে দেখা যায়নি।


২০১৭ সালে এক প্রবন্ধে সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিশেষজ্ঞা ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক এজেন্ট আলি সওফান বলেন, বাবার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের নেতৃত্ব নিতে হামজা প্রস্তুত।


ওসামার জীবিত তিন স্ত্রীর মধ্যে খাইরিয়া সাবারের গর্ভে জন্ম নেন হামজা বিন লাদেন। গত আগস্টে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় প্রধান ছিনতাইকারী মোহাম্মদ আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি।


২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রাণ হারায় দুই হাজার ৭৫৩ জন। শুধু প্রাণের হিসেবেই নয়, এ ঘটনায় পাল্টে যায় বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্র। ঘটনার পরপরই সন্দেহের তীর আল-কায়দার ওপর পড়ে।


প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করলেও ২০০৪ সালে হামলার দায় স্বীকার করেন আল-কায়দা প্রধান উসামা বিন লাদেন। সূত্র:এনবিসি নিউজ।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com