হংকংয়ের চীনপন্থী নেতা চীনা প্রত্যার্পণ বিলকে মঙ্গলবার মৃত ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, যে বিলের কারণে নজিরবিহীন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা এখন মৃত। তবে বিক্ষোভকারীরা দ্রুতই তার মন্তব্যকে নাকচ করে আরো সমাবেশ করার হুমকি দিয়েছে।
এর আগে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ও চীনপন্থী নেতা ক্যারি ল্যাম লাখ লাখ লোকের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং সমালোচনার মুখে বিতর্কিত প্রত্যার্পণ বিল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এতে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রত্যর্পণ বিল সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ বাতিল এবং তার পদত্যাগ ও গণতান্ত্রিক সংস্কারসহ আরো কিছু দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। গত এক মাস ধরে এই বিক্ষোভ কখনো সহিংস ও কখনো শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
সমালোচকেরা বলছেন, এই প্রত্যার্পণ বিলের কারণে চীন হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ পাবে। হংকংবাসীও এ আশঙ্কার কারণে বিলটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। সর্বস্তরের লাখ লাখ লোক রাস্তায় নেমে এসেছে।
বলা হচ্ছে, ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হংকংয়ের হস্তান্তরের পর থেকে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ।
নগরীর প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম স্বীকার করেছেন, বিলটি পাসে তার প্রশাসনের উদ্যোগ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তার সরকার পার্লামেন্টে বিলটি তোলার আর কোনো উদ্যোগ নেবে না।
তিনি বলেন, পার্লামেন্টে বিলটি তোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিলটি এখন মৃত।
নেতৃস্থানীয় গণতান্ত্রিক কর্মী জসুয়া ওং বলেন, বিল নিয়ে ল্যামের এই কথা আরেকটি হাস্যকর মিথ্যা। আইনী কর্মসূচির মধ্যে বিলটি আগামী জুলাই পর্যন্ত রয়ে যাবে।
জসুয়া অং ২০১৪ সালের বিক্ষোভে ভূমিকা রাখার কারণে কারারুদ্ধ হন। সম্প্রতি তিনি মুক্তি পান।
কয়েকটি গণসমাবেশের আয়োজনকারী দ্য সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট বলেছে, সামনের দিনগুলোতে তারা নতুন বিক্ষোভের কথা ঘোষণা করবে। সূত্র: এএফপি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]