মাদক থেকে যুবসমাজ রক্ষায় ফের মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনছে শ্রীলঙ্কা। আর তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল তারা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, গত বছরই জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দাঁড়িয়ে ৪৩ বছরের জন্য মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার প্রতিজ্ঞা করেছে শ্রীলঙ্কা। এখন তা ফিরিয়ে আনার অর্থ, প্রতিজ্ঞা-ভঙ্গ। শুধু তাই নয়, শ্রীলঙ্কার এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মঞ্চ ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দেবে বলে মনে করে ইইউ। সেক্ষেত্রে ইইউ-র বাণিজ্য বাজারে শ্রীলঙ্কা যে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায়, তা নিয়েও ফের একবার চিন্তা করার বার্তা দিয়েছে ব্রাসেলস। ফলে, মৃত্যুদণ্ড ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চাপে পড়তে পারে কলম্বো।
বহুদিন আগে থেকেই বাণিজ্যক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিশেষ সুবিধা পেত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু গৃহযুদ্ধের সময় তাদের এই সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় ইইউ। ২০১৫-তে মৈত্রীপালা সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই বাণিজ্যিক সুবিধা ফের ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু এখন সেই সুবিধা ফের হারানোর আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।
১৯৭৬ সালে শেষ এক জেলবন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই মাদক পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত চার জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন সিরিসেনা।
সম্প্রতি এক স্কুলের অনুষ্ঠানে সিরিসেনা জানিয়েছেন, যুবসমাজকে মাদকের নেশা থেকে বাঁচাতেই ফের মৃত্যুদণ্ড ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে এক ফোনালাপে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেসকেও তিনি বুঝিয়েছেন বলে দাবি। কিন্তু ইইউ এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, মৃত্যুদণ্ড খুবই নৃশংস, অমানবিক ও নিচু স্তরের একটা সাজা। সূত্র: এইসময়
বিবার্তা/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]