শিরোনাম
গোলানে ট্রাম্পের নামে নতুন বসতি উদ্বোধন ইসরাইলের
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০১৯, ১১:৫৩
গোলানে ট্রাম্পের নামে নতুন বসতি উদ্বোধন ইসরাইলের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত গোলান মালভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে একটি নতুন বসতির উদ্বোধন করেছেন।


রবিবার এই বসতির নামকরণ অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহ বলেন, এই অঞ্চলের ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ায় ট্রাম্পের সম্মানে এই বসতির নাম ট্রাম্প হাইট্‌স রাখা হয়েছে।


এখনো পর্যন্ত ভবন নির্মাণ শুরু না হলেও ট্রাম্পের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকা সম্বলিত সাইনবোর্ড উন্মোচন করেন নেতানিয়াহু।


সমালোচকরা বলেছেন, আইনগত বৈধতা না থাকলেও এটি নেতানিয়াহুর একটি প্রচারণার কৌশল।


ট্রাম্পকে ইসরাইলের বন্ধু আখ্যা দিয়ে অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, আজ এক ঐতিহাসিক দিন।


অনুষ্ঠানে ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রাইডম্যান বলেন, শহরটি ইসরাইলের জন্য উপযুক্ত। তবে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।


ধারণা করা হচ্ছে এই নতুন বসতি গোলান মালভূমির উত্তরাঞ্চলে কেলার কাছে নির্মাণ করা হবে।


গোলান মালভূমি ১১৫০ কিলো মিটার আয়তনের একটি মালভূমি, যা গোলান পর্বতমালার অংশ। ইসরাইলের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত সিরিয়ার এই অঞ্চলটি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইলি যুদ্ধে ইসরাইল দখল করে নেয়।


আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো ইসরাইলের এই দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে এসে ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প।



গোলান মালভুমি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?


দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার একটি পাথুরে মালভূমি হচ্ছে এই গোলান। জায়গাটা বেশি বড় নয়, কিন্তু এর কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। গোলান মালভুমি থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার একটি বড় অংশ স্পষ্ট দেখা যায়।


সিরিয়ান সেনাবাহিনীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটা এক আদর্শ জায়গা। তাছাড়া পার্বত্য এলাকা বলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কোনো সম্ভাব্য আক্রমণের পথে এটা একটা চমৎকার প্রাকৃতিক বাধা হিসেবে কাজ করে।


এছাড়া এটি প্রাকৃতিক পানির উৎস। গোলান মালভূমি থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে জর্ডন নদীতে। এর এটি হচ্ছে ইসরাইলের পানি সরবরাহের এক তৃতীয়াংশের উৎস। তা ছাড়া জায়গাটি উর্বর এবং এখানে ফল ও আঙুরের চাষ হয়, পশুপালন হয়।


১৯৬৭ সালে ইসরায়েল জায়গাটি দখল করার পর এখানকার সিরিয়ান আরব বাসিন্দারা অধিকাংশই পালিয়ে যায়। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে সিরিয়া এটি পুনর্দখল করার চেষ্টা করেও পারেনি। ১৯৭৪ সালে ইসরায়েল সিরিয়া এক যুদ্ধবিরতি হয় আর ১৯৮১ সালে ইসরায়েল গোলানকে নিজের অংশ করে নেয় একতরফাভাবে। তবে এটা কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি।


এখানে ৩০টিরও বেশি ইসরাইলি বসতি আছে, যাতে ২০ হাজার ইসরাইলি বাস করে। এছাড়াও এখানে বাস করে প্রায় ২০ হাজার সিরিয়ান দ্রুজ সম্প্রদায়ের লোক। সূত্র: বিবিসি


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com