ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসকে 'গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র' হিসেবে ব্যবহার করছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
তিনি বলেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার আশ্রয় বাতিল করার সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য কোনো দেশের ইন্ধন নেই।
ব্রিটিশ পত্রিকা 'দ্য গার্ডিয়ান'কে মোরেনো বলেছেন, ইকুয়েডরের সাবেক সরকার অন্য রাষ্ট্রের কার্যক্রমে 'হস্তক্ষেপ' করার উদ্দেশে তাদের দূতাবাসের ভেতরে সহায়তা প্রদান করতো।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে 'যাচ্ছে-তাই অভিযোগ' আনার অভিযোগ তুলেছেন।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট মোরেনো দূতাবাসে অ্যাসাঞ্জের সাত বছরের আশ্রয় বাতিল করার কারণ সম্পর্কে বলেছেন, অস্থিতিশীলতা তৈরি করার যে কোনো প্রচেষ্টাই ইকুয়েডরের জন্য নিন্দনীয়, কারণ আমরা একটি সার্বভৌম দেশ এবং আমরা অন্য দেশের রাজনীতির সম্মান করি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বাড়ি, যেই বাড়ির দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সেটিকে গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে দিতে পারি না।
অ্যাসাঞ্জের স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থা সম্পর্কে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া পাওলা রোমো'র মন্তব্যেরও প্রসঙ্গ টানেন মোরেনো।
এদিকে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিফার রবিনসন ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল স্কাই'য়ে এক অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দূতাবাসের ভেতরে ব্রিটিশ পুলিশকে ঢুকতে দেয়ার বেআইনি এবং বিস্ময়কর সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দিতে ইকুয়েডর গত কয়েকদিনে কিছু গর্হিত অভিযোগ এনেছে।
আরো বলেন, অ্যাসাঞ্জ যে সন্দেহ করছিলেন যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে, তা আরো ঘনীভূত হয়েছে এই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে আনা পেন্টাগনের কম্পিউটারে হ্যাক করার অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর।
২০১২ সালে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় ৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ১২ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি পেতে পারেন।
সুইডেনের হাতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন অ্যাসাঞ্জ। সুইডেনে ধর্ষণসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]