মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন মার্কো রুবিও
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১৯
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন মার্কো রুবিও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও কে নিয়োগ দিতে পারেন।


চূড়ান্তভাবে তাকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন ফ্লোরিডায় জন্ম নেওয়া এই রাজনীতিবিদ।


১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার কয়েকটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে কঠোর পররাষ্ট্রনীতি সমর্থনকারী প্রার্থী ছিলেন রুবিও। বহু আগে থেকেই আমেরিকার ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন চীন, ইরান ও কিউবার বিষয়ে তিনি শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।


তবে গত কয়েক বছরে তিনি তার কিছু অবস্থানকে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্য করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের ব্যয়বহুল ও অকার্যকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং একটি সংযত পররাষ্ট্রনীতির কথা বলে আসছেন।


তবে, ২০১৭ সালের চেয়ে এবার পুরো বদলে যাওয়া একটি বিশ্ব পাচ্ছেন ট্রাম্প। এই সময়টা আগের চেয়ে বেশি অস্থির ও বিপজ্জনক। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রুবিওর জন্য ইউক্রেন সংকট একটি বড় হিসেবে এজেন্ডা হবে।


মার্কিন সিনেটর রুবিও সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো। পূর্বে দখলকৃত ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি ইউক্রেনের জন্য এপ্রিল মাসে পাস হওয়া ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের একজন ছিলেন।


সিনেটে শীর্ষ চীন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত রুবিও। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য হিসেবে তিনি বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ বজায় রেখেছিলেন। এই বছরের শুরুর দিকে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের সব বিক্রয় বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।


রুবিওর দাদা ১৯৬২ সালে কিউবা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। কিউবা সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের ঘের বিরোধী ছিলেন তিনি। ট্রাম্পও একই মনোভাব পোষণ করেন।


বিবার্তা/জেএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com