
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত হবার পর ইরানের জন্য একটি কঠিন সময় যাচ্ছে। একদিকে এই হামলার জবাব দিতে চাইছে দেশটি। অন্যদিকে ইরান এমন কোন কাজ করতে চায় না যার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘিরে যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরায়েল প্রস্তুত রয়েছে।
৭ এপ্রিল, রবিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই মন্তব্য করেছেন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শত্রু ইরানের সাথে তৈরি হতে পারে এমন যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার দেশ প্রস্তুত। ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর দেওয়া বিবৃতিতে ওই মন্তব্য করেছেন গ্যালান্ত।
রবিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ইসরায়েলের কোনও দূতাবাসই আর নিরাপদ নয়। তেহরান ইসরায়েলের সাথে সংঘাতকে একটি 'ন্যায় ও আইনি অধিকার' হিসেবে দেখে।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ রোববার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে ইরানের হাতে থাকা ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।
যদিও দামেস্কে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির নেতারা বলেছেন, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কারণ গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহকে সহায়তা করছে ইরান। গত ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে হামাস ও হিজবুল্লাহ।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাত কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারও রয়েছেন। হামলায় কনস্যুলেট ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]