
সর্বশেষ রমজানের দ্বিতীয় দিনে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর আবারও হামলা চলিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গাজার দক্ষিণে অবস্থিত কুয়েত গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিছু ফিলিস্তিনি। এসময় ওই জটলার মধ্যে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। এছাড়া আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন লোককে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
এদিকে রবিবার (১০ মার্চ) চাঁদ রাতেও গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে স্থল ও আকাশপথে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে গাজা সিটিতে ১৩ জন ও খান ইউনিসে ১৭ জন নিহত হন। এরপরই বিবৃতি দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি।
তিনি বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।
এর আগের দিনই মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের আছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন, তাতে দিন দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই ইসরায়েলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন বাসিন্দা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]