ভিসা স্থগিতের ফলে ইসরায়েল ছাড়ছেন মানবাধিকার কর্মীরা
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮
ভিসা স্থগিতের ফলে ইসরায়েল ছাড়ছেন মানবাধিকার কর্মীরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কর্মরত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মানবাধিকার কর্মীদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। সে কারণে ইসরায়েল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা।


ইসরায়েল ভিসা দেয়া বন্ধ করায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রধানসহ অনেক কর্মীকে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড ছাড়তে হয়েছে অথবা নির্বাসনের ঝুঁকি নিয়েই মানবিক সহায়তা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।


গাজার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চলে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজের সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ফারিস আরৌরি জানিয়েছেন, গাজার বর্তমান প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জরুরি সহায়তা প্রধানকারী দলগুলোর ওপর এর প্রভাব বেশি পড়েছে। অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলার জন্য আঞ্চলিক সদর দফতর থেকে সংক্ষিপ্ত নোটিসে তাদের মোতায়েন করা হলেও ভিসা স্থগিত রাখার জন্য সহায়তাকারী দলগুলো জেরুজালেমে কোনো বিশেষজ্ঞ আনতে সক্ষম হয়নি। জেরুজালেম থেকেই গাজাতে অধিকাংশ মানবিক সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।


ইসরায়েল এবং দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রবেশ করার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইসরায়েলের মিনিস্ট্রি অব ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড সোশ্যাল এফেয়ার্স নতুন করে ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অতীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে ভিসা নেয়া গেলেও ৭ অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে সেটি বন্ধ আছে।


সে সময় মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, জরুরি পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং সব ধরনের মানবিক সেবা প্রদানকারীদের ভিসার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়ে আসার পর মন্ত্রণালয় সুপারিশপত্র দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং জানিয়েছে, ভিসা কার্যক্রমের বিষয়টি নিয়ে ‘বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষ’ আলোচনা করছে।


ফারিস আরৌরি বলেছেন, গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করার বদলে আমাদের এখন শুধু জেরুজালেমেই প্রবেশ করার চেষ্টা চালাতে হচ্ছে।


তিনি আরও জানিয়েছেন, ভিসা স্থগিত করা একটি নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত।


আরৌরি আরও বলেন, সবসময়ই এই নিয়ে জটিলতা ছিল, বিশেষ করে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে ২০০৫ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় (ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ বোঝাতে এই আরবি শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যেটিকে বাংলায় ‘অভ্যুত্থান’ বলা যায়) ভিসা জটিলতা বেশি ছিল। বিভিন্ন সময়ে সীমাবদ্ধতার জন্য এই অঞ্চলে প্রবেশ করা কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু এত বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা আগে কখনো দেয়া হয়নি।


ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কর্মীদের জেরুজালেম বা গাজায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বিদেশি মানবাধিকার কর্মীদের ভিসা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি আরও জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনের এই রকম মানবিক সংকটের সময় ভিসা জটিলতার জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানকারী দলগুলো পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com