
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অস্থিরতার মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে টানা বিকাল ৫টা (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত।
তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই পাকিস্তানজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া পাকিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চলেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার খবর ও জানিয়েছে ইন্টারনেট মনিটর নেটব্লকস।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চলে এখন ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সহিংসতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করায় ব্যাপক সমালোচনা ও কারচুপির শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, নির্বাচনের দিন থেকে মোবাইল ফোন পরিষেবা স্থগিত করা ‘অশুভ’।
মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। সারাদেশে মোবাইল পরিষেবা স্থগিতকে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছে দলটি।
এছাড়া নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা জানিয়েছে দলটি জানায়, ‘ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া নাগরিকদের অধিকারের ইচ্ছাকৃত দমন এবং গণতন্ত্রের উপহাস।’
এদিকে সাবেক পিপিপি নেতা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুস্তাফা নওয়াজ খোখার বলেছেন যে, ‘ভোটের দিন মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা মানেই হল নির্বাচনের দিন কারচুপির শুরু।’
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]