হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। তবে কাতারের কাছে উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে এখনো সম্মতি জানায়নি হামাস।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে শুক্রবারও উত্তর গাজা ও মধ্যাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন। বেঁচে যাওয়াই যেন এখন চমকপ্রদ কোনো ঘটনা।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বিমান হামলায় রাফাহ শহরে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার হয় এক শিশু।
ওই শিশুর পরিবার জানায়, রাতে যখন তারা বসে খাবার খাচ্ছিলেন, তখন হামলা শুরু হয়। এর আগে ওই এলাকার বাসিন্দাদের গাজা শহর থেকে খান ইউনিসে আসার নির্দেশ দেয়া হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকালেও উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া, দক্ষিণে খান ইউনিস ও মধ্যাঞ্চলে মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
টানা যুদ্ধে গাজার মানবিক সংকট এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, ভূখণ্ডটির প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ‘দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে’ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। গাজাবাসীকে চরম বিপদ থেকে রক্ষা করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েল থেকে জিম্মি হওয়া এখনো ১২৯ জন জিম্মি আছে হামাসের কাছে। এসব জিম্মিকে মুক্ত করতে নতুন বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল সরকার।
কাতারের কাছে উত্থাপন করা ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রথমে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সেনাদের সরিয়ে নেবে। একই সঙ্গে উপত্যকাটিতে আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। বিনিময়ে নিজেদের কাছে জিম্মি থাকা ইসরাইলি ও মৃত ইসরায়েলিদের মরদেহ ফেরত দেবে হামাস। তবে ইসরায়েলের ওই প্রস্তাব এখনো গ্রহণ করেনি হামাস।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]