গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ আখ্যা দিলো ‘ডব্লিউএইচও’
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:১৭
গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ আখ্যা দিলো ‘ডব্লিউএইচও’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে টানা দেড় মাস ধরে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলিদের বর্বরতা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।


এই পরিস্থিতিতে গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একইসঙ্গে হাসপাতালটিতে এখনও যারা অবস্থান করছেন তাদের সরিয়ে নিতেও অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।


১৯ নভেম্বর, রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।


সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একইসঙ্গে হাসপাতালে অবস্থানরত অবশিষ্ট লোকদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।


এর আগে আল-শিফা হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল থেকে রোগীদের চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়। পরে সেটি প্রায় জনমানবহীন হয়ে পড়ে।


এরপর শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়নকারী একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। পরে তারাই গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম এই হাসপাতালটিকে ‘ডেথ জোন’ বলে আখ্যা দেয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়নকারী ওই দলটি আল-শিফা হাসপাতালের প্রবেশপথে গণকবর দেখেছে এবং সেখানে ৮০ জনেরও বেশি লোককে কবর দেয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।


জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, লজিস্টিক অফিসার এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির দৃশ্যমান নানা লক্ষণও দেখতে পেয়েছে।


ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পর্যবেক্ষক দলটি হাসপাতালের ভেতরে মাত্র এক ঘণ্টা অবস্থান করতে সক্ষম হয় এবং সেই এক ঘণ্টার পরিদর্শনেই তাঁরা এই হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বা বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘মরিয়া’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।


বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে হাসপাতালটি ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পক্ষে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। করিডর এবং হাসপাতালের মাঠ বর্জ্যে ভরে গেছে। এতে এখানে অবস্থানরতদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আতঙ্কিত। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর নতুন করে কোনো রোগীকে ভর্তি করতে পারছে না এবং আহত ও অসুস্থদের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com