জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা বহির্বিশ্বের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদকে এ কথা বলেছেন।
রুশ কূটনীতিক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘যেকোন মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য অবিলম্বে বৈরিতা বন্ধ করা প্রয়োজন। কেউ ধ্বংসাবশেষ সাফ করতে এবং হামলার কবলে পড়লে লোকদের সরিয়ে নিতে পারে না। প্রয়োজনীয় জ্বালানি আনাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গাজার হাসপাতালগুলোর জ্বালানি ফুরিয়ে যেতে পারে। এছাড়া, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে (১৬ নভেম্বর ইউএনআরডব্লিউএ-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী) জ্বালানি সরবরাহ ছাড়াই গাজার বাসিন্দারা ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগ হারিয়ে বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদে সবেমাত্র মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে চারবার যুদ্ধ বিরতি প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর আজ মানবিক বিরতি ও করিডোরসহ সাহায্য বিতরণ এবং চিকিৎসা সুবিধার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
১৫-সদস্যের কাউন্সিলের মোট ১২টি দেশ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত অঞ্চলে শিশুদের সাহায্য করার লক্ষ্যে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
নেবেনজিয়া বলেন, ‘সেখানে কী ঘটবে তা বলা যাবে না। গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অন্ধকার ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত হবে এবং জরুরি পরিষেবাগুলোর মধ্যে সমন্বয় ব্যাহত হবে।’
তিনি বলেন,‘এই মুহূর্তে, যখন নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল বাগ্মিতার অনুশীলন করছে, তখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে, ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে বোমাবর্ষণ করছে এবং চিকিৎসা কর্মীদের ওপর গুলি, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা ডিপো ধ্বংস করার আশঙ্কাজনক রিপোর্ট আসছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও জোর দিচ্ছি, মানবিক বিরতি যুদ্ধবিরতির বিকল্প নয় এবং হতে পারে না। এটি শুধুমাত্র একটি স্বল্প সময়ের স্থগিত, যার পরে আবার নতুন করে যুদ্ধ শুরু হবে।’
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]